মালিকদের ‘চাপে’ পিছু হটল সরকার, পুরোনো বাস চলবে
পরিবহনমালিক-শ্রমিকদের চাপের মুখে পুরোনো লক্কড়ঝক্কড় যানবাহন উঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটেছে সরকার। ফলে ২০ বছরের পুরোনো বাস এবং ২৫ বছরের পুরোনো ট্রাক অবাধে চলতে পারবে সড়কে।
সড়ক দুর্ঘটনা ও পরিবেশদূষণের বড় কারণ পুরোনো যানবাহন—এই বিবেচনায় ২০ বছরের পুরোনো বাস ও ২৫ বছরের পুরোনো ট্রাক তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে গত ১৭ মে প্রজ্ঞাপন জারি করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
পাশাপাশি একটি নীতিমালা করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়, যেখানে যানবাহনগুলো কী প্রক্রিয়ায় ধ্বংস করা হবে (স্ক্র্যাপ), তা ঠিক করার কথা ছিল। এর মধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান পরিচালনায় যুক্ত একাধিক মালিক সমিতি পুরোনো যানবাহন উঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
সংগঠনগুলো পুরোনো যানবাহন তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে চিঠি দেয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয় আগের প্রজ্ঞাপন স্থগিত করে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খোন্দকার এনায়েত উল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় পুরোনো যানবাহনের বয়সসীমা নির্ধারণের আগে তাদের সঙ্গে কথা বলেনি। একসঙ্গে বিপুলসংখ্যক যানবাহন তুলে দিলে শূন্যতা তৈরি হবে। এর প্রভাব যাত্রী পরিবহন ও বাণিজ্যে পড়বে। এ জন্য তাঁরা সরকারকে চিঠি দিয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত করার আবেদন করেছিলেন। তিনি বলেন, এখন আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করা হবে।