রক্তচাপ কম থাকলে ‘বেবি কর্ন’ খান
ভুট্টা ‘দানাশস্যের রানি’ হিসেবে পরিচিত। এটির আদি উৎপত্তিস্থল হচ্ছে মেসো আমেরিকা।
ইউরোপীয়রা আমেরিকা মহাদেশে পদার্পণ করার পর বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে ভুট্টা। একলিঙ্গের উদ্ভিদ এটি। ভুট্টায় প্রচুর পরিমাণে লৌহ রয়েছে যা কিনা রক্তের লোহিত কণার প্রয়োজনীয় খনিজের চাহিদা পূরণ করে থাকে। ইদানিং মার্কেট ও রাস্তা-ঘাটের সামনে গেলে চোখে পড়ে ভ্যানগাড়িতে পোড়ানো হচ্ছে ভুট্টা। যাকে অনেকে পপকন হিসেবে কিনে থাকেন। অনেকে আবার কর্ন স্যুপ মিশ্রিত ভেজিটেবল স্যুপ খেয়ে থাকেন। কেবল খেতেই ভালো নয়, বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর এই দানা।
খাদ্য ও পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে ভুট্টার কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কে জানানো হলো।
ভুট্টার পুষ্টিগুণ: প্রতি ১শ গ্রাম ভুট্টায় ১৯ গ্রাম কার্বোহাইড্রেইট, ২ গ্রাম আঁশ, ৩ গ্রাম প্রোটিন, ১ দশমিক ৫ এর কম চর্বি এবং ৮৬ ক্যালরি থাকে। অন্যদিকে ১শ গ্রাম পপকর্ণে ৯২ ক্যালরি, ২ দশমিক ৯ গ্রাম প্রোটিন, ১৮ দশমিক ৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট এবং ১ গ্রাম চর্বি থাকে।
ভুট্টার উপকারিতা: ভুট্টা আঁশে ভরা। এতে পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে। এতে বায়োফ্লাভোনয়েডস ও ক্যারোটিনয়েডসের মতো প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ফলে শরীর সুস্থ রাখে।
স্বাস্থ্যকর নাশতা: ভুট্টা সাধারণত রোস্ট বা স্টেম করে খাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন খেলেও ওজন বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে দুশ্চিন্তা করা লাগবে না। চাইলে ভুট্টা মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গ্রিল করেও খেতে পারেন।
রুচি বর্ধক: বর্ষায় ঘরে মুভি দেখতে বা বাইরে সময় কাটাতে ভুট্টা ও চা খেতে পারেন। চায়ের আড্ডা জমতে পারে ভুট্টা দিয়ে।