পানি রাজনীতির শেষ কোথায়?
পানিতে যেমন জীবনের উদ্ভব, তেমনি পানি ছাড়া জীবের অস্তিত্ব অকল্পনীয়। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য যেমন পানি দরকার তেমনি একটি রাষ্ট্রের কিংবা অঞ্চলের উন্নয়ন, সাফল্যও পানির লভ্যতার ওপর নির্ভর করে। বাংলাদেশের পদ্মা, মেঘনা, যমুনা থেকে মিসরের নীল নদ, ব্রাজিলের রেইন ফরেস্টের অ্যামাজনসহ সব নদীরই রয়েছে আঞ্চলিক সীমানায় এবং বিশ্ব পরিমণ্ডলে বিশাল অবদান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, জনপদ, সম্প্রদায় তাদের উন্নয়ন ও জীবন-জীবিকার জন্য বেছে নিয়েছে নদী কিংবা সাগর-তীরবর্তী স্থান।
আমরা দেখি প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট নদীগুলো বিভিন্ন দেশের সীমানা তৈরি করছে, এক দেশ থেকে আরেক দেশে প্রবাহিত হচ্ছে, যেমন সীমানাগতভাবে আলাদা করছে তেমনি সম্পর্কও স্থাপন করছে। নীল নদ প্রায় এক ডজন দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে একটি বিশাল জনপদকে সজীব করেছে। কিন্তু কিছু মানুষ তার স্বার্থে নদীকে তার রাষ্ট্রীয় সীমানায় আবদ্ধ রেখে এককভাবে সম্পদ ভোগ করে, যার ফলে আঞ্চলিক সংকট সৃষ্টি হয়। তবে জলাধার অথবা নদীর পানির ভাগাভাগি না থাকলে পৃথিবীতে শান্তি থাকত না। কোনোভাবে পানি ভাগাভাগির সমঝোতা বিনষ্ট হলে এর পরিণতি দেশে দেশে ও জাতিতে জাতিতে সংঘর্ষ, যুদ্ধবিগ্রহ।