ভালোর দিকে সমাজের পরিবর্তন চাই

www.ajkerpatrika.com আব্দুর রাজ্জাক প্রকাশিত: ০১ আগস্ট ২০২৩, ১১:২৬

বাংলাদেশে সম্প্রতি কয়েকটি উপনির্বাচনে চমকপ্রদ ঘটনা ঘটেছে। স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক, যিনি মানসিকভাবে সুস্থ এবং যাঁর বয়স ২৫ বছর, নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। আমাদের সংবিধান তাই বলে। যেহেতু উপনির্বাচনে রাজপথে থাকা প্রধান বিরোধী দল অংশ নেয়নি, তাই বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের বিপরীতে অনেকেই প্রার্থী হয়েছেন।


যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের আশা ছিল, রাজপথের বিরোধী দল তাঁদেরই সমর্থন করবে, প্রকাশ্যে না হলেও ভেতরে-ভেতরে। আর তা না হলে নিদেনপক্ষে তাঁদের ভোট দেবে। এই সোজা ফর্মুলা খাটিয়ে অনেকেই প্রার্থী হয়েছেন।


গত কয়েক মাসে এসব দেখে দেখে নিজের মনের মধ্যে বিরক্তি প্রকাশ করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। তাই কয়েক দিন আগে আমি নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম এই বলে যে ‘নিজের সন্তানের প্রাইভেট টিউটর খোঁজেন বুয়েটের গ্র্যাজুয়েট অথবা ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট, জাতীয় পার্লামেন্টের সদস্য হিসেবে খোঁজেন নিম্নশ্রেণির কমেডিয়ানদের!’ এই পোস্ট দেওয়ার পরে লাইক পড়েছে ৭০ শতাংশ।


যে কয়টি মন্তব্য এসেছে এর মধ্যে ৬০ শতাংশ মন্তব্যকারী আমার মতের বিপরীতে অবস্থান নিয়ে মোটামুটি যে মতামত দিয়েছেন, তা ব্যাখ্যা করলে দাঁড়ায়—‘কমেডিয়ান হোক আর যা-ই হোক, সে ঘুষ নেবে না, দুর্নীতি করবে না, সে বিদেশে টাকা পাচার করবে না। যেসব গণ্যমান্য নামীদামি ব্যক্তি সংসদ সদস্য হিসেবে আছেন, তাঁদের বেশির ভাগই দুর্নীতি করেন ও বিদেশে টাকা পাচার করেন। এই সব দুর্নীতিবাজ ও টাকা পাচারকারীর চেয়ে কমেডিয়ান অনেক ভালো!’ মোটের ওপর তাঁদের মন্তব্য এ রকমই ছিল।


তিন-চার দিন পরে যখন লাইক-ডিজলাইকের পালা শেষ, তখন আমি মন্তব্য করলাম—যাঁরা এ দেশের টাকা পাচারকারী দুর্নীতিবাজদের বিপক্ষে কথা বলেছেন, আমি তাঁদের সঙ্গে একমত। তাই বলে আপনারা সবাই এই মন্তব্য কেন করেন না যে সব দলের মধ্য থেকেই ভালো, সৎ, নিষ্ঠাবান ও যোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হোক? তাহলে তো সংসদ শক্তিশালী হবে, সংসদে জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে, জনবান্ধব আইন তৈরি হবে, সংসদ আসলেই কার্যকর হয়ে উঠবে। আমি এখনো মনে করি, সব দলের মধ্যেই যোগ্য, সৎ ও ভালো প্রার্থী আছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও