কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রাজনৈতিক মারপিটের সমীকরণ

সমকাল মাহবুব আজীজ প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২৩, ০২:০১

বাঙালি বিস্মৃতিপ্রবণ ও আত্মঘাতী– এ কথা বহুল উচ্চারিত। নিকট অতীতের স্মৃতি-অভিজ্ঞতা ভুলে সমসাময়িক উত্তেজনার দিকে আমাদের যাবতীয় উদ্বেগ ও আবদার ন্যস্ত। এ কারণে অন্ধ মহিষের অযৌক্তিক ক্রোধের সামনে অসহায় সমর্পণের মতো ঘটনাও জাতির ইতিহাসে ঘটেছে।


একটি উদাহরণ দিই। মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২ বছরে এ দেশের কোনো রাজনৈতিক দল স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। যে ক’বার সরকার পরিবর্তন হয়েছে, তার তিনবার ‘সামরিক’ শাসন– জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদ; একবার সেনাসমর্থিত সরকার ২০০৭-এ। বাকি তিনবার গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার পরিবর্তন– ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১-এ। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তিনবারের সরকার পরিবর্তনের নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে– এক নিঃশ্বাসে বলা না গেলেও সত্যের পক্ষে দাঁড়িয়ে বলতেই হয়, অবশ্যই নির্বাচন তিনটিতে গণরায়ের প্রতিফলন ছিল। জবাবদিহির সংসদ সেই তিনবারই প্রতিষ্ঠিত হয়। আমরা গণতান্ত্রিক সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুতপায়ে অগ্রসর হচ্ছিলাম।


এসব পুরোনো কাসুন্দি; সবারই জানা। এ-ও নামতা পড়ার মতো আমাদের মুখস্থ যে, সংবিধানের বাইরে যাওয়ার আপাতত আর কোনো সুযোগই নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়ে গেছে; আর কোনো ওয়ান ইলেভেন সরকার এ দেশে কোনোদিন আসবে না!


বেশ। এসব উচ্চারণ আমরা আগে শুনিনি? ১৯৯৬ সালে? তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, পাগল ও শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ না। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেবার পাগল ও শিশু ছাড়াই নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্বে এসেছিল। এর পর ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে খালেদা জিয়া সরকারের চূড়ান্ত টালবাহানা শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ-বিএনপি নির্বিশেষে রাজনৈতিক নেতাদের জেলখানাবাসী করে ফেলেনি। তারও আগে প্রধান দুই রাজনৈতিক শক্তি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হানাহানি-মারামারিতে রক্তাক্ত হয় দেশ; রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রতি সাধারণ মানুষের বিরক্তি ও বিতৃষ্ণা উগরে ওঠে। ফলাফল হিসেবে সেনাসমর্থিত মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীনের অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এসে দুই বছরের বেশি সময় যা খুশি তা-ই শাসন চালায়!


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও