কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

‘জীবনে বিয়ে করা কি খুব জরুরি?’

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০২৩, ১৬:১৭

জীবনে চলার পথে বিভিন্ন কারণে বিষণ্ণতা ঘিরে ধরতে পারে, থমকে যেতে পারে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। হতাশার এই সময়ে সঠিক দিকনির্দেশনা সাহায্য করতে পারে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে।


প্রশ্ন: আমার বাবা নেই। মা ও ভাই-বোনদের দেখতে গিয়ে নিজের বয়স হয়ে গেছে ৪০। এখন সবাই বিয়ের জন্য খুব চাপ দিচ্ছে। কিন্তু প্রস্তাব যা আসে সবাই বিপত্নীক অথবা ডিভোর্সি। বিয়ে করবো কিনা সেটা নিয়ে খুব দ্বিধায় আছি। যদি বিয়ে এখনই না করি কিংবা কখনোই না করি, তবে কি পরবর্তীতে পস্তাবো? জীবনে বিয়ে করা কি খুব জরুরি?


উত্তর: এ রকম পরিস্থিতিতে যে কেউই আপনার মতো দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়তেন। আপনি এটা মনে রাখুন যে, দাম্পত্য জীবন একটি প্রাকৃতিক বিষয়। প্রকৃতিতে অন্য কোনও প্রাণীকে বিয়ে নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে হয় না। মানুষও এর ব্যতিক্রম নয়। যার যখন যেখানে বিয়ের কথা, তা তখন সেখানেই হবে। সে চাইলেও হবে, না চাইলেও হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ কী হবে, বা আপনার বিয়ে করা জরুরি কি না অথবা আপনার বিয়ে হবে কি না, তা আমরা কেউই জানি না। জানি না বলেই জীবন বৈচিত্রময়। আমাদের জন্য যেটা প্রাকৃতিকভাবে নির্ধারিত সেটাই হবে। তবে ভবিষ্যৎ যাই হোক না কেন, সেটাকে মেনে নেওয়ার চর্চা করার মাধ্যমেই কেবলমাত্র আপনি প্রশান্তি খুঁজে পাবেন। আপনি এবং প্রতিটি মানুষ অনন্য এবং অতুলনীয়।


প্রশ্ন: আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পারিক বোঝাপড়ার সমস্যা আছে। কখনও আমার স্ত্রী আমাকে বুঝতে চায় না, কখনও কখনও আমিও অবুঝের মতো আচরণ করি। কমে যাচ্ছে পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ। আমাদের একটি সন্তান আছে ৩ বছর বয়সী। আমাদের ঝগড়ায় সে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কীভাবে বিষয়টির সমাধান করতে পারি?


উত্তর: আপনাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আচরণ বা স্বভাবধর্ম পরিবর্তনের চেষ্টার করার আগে আপনাদেরকে এটা বুঝতে হবে যে, আপনাদের একজনের কাছে অন্যের যে স্বভাব অস্বাভাবিক, তার জন্য সেটাই স্বাভাবিক। এই স্বাভাবিকতাকে আগে মেনে নিতে না পারলে আপনারা নিজেদেরকে হেয় মনে করতে থাকবেন। নিজেকে হেয় মনে করলে কেউই অপরের সম্পর্কে ভালো মনোভাব পোষণ করতে পারে না। পৃথিবীতে সকল মানুষই সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ, মর্যাদাপূর্ণ এবং মানবিক বিচারের ঊর্ধে। আপনারা নিচের পরামর্শগুলো মেনে চললে উভয়েই উপকৃত হবেন।


১। নিজেকে নিঃশর্তভাবে ভালোবাসতে হবে। ভালো-খারাপ সকল বৈশিষ্ট্যসহ মেনে নিতে হবে। 


২। সেলফ অবজারভেশন বা আত্ম-সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। নিজের ভাবনা, মনোভাব এবং প্রতিক্রিয়া নিয়ে সচেতন হোন।


৩। আপনার নিজের মানসিক দৃঢ়তা ও আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর চেষ্টা করুন। আপনি আত্ম-সহায়তা বই, মনোযোগ বা নিঃস্বাসের ব্যয়ামের মাধ্যমে এটি করতে পারেন। আপনি যদি প্রয়োজন অনুভব করেন, একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করুন।


৪। আপনারা পরস্পরের সঙ্গে ঠান্ডা মাথায় খোলামেলা আলোচনা করুন। একে-অন্যের চিন্তাভাবনা সম্পর্কে গভীরভাবে জানার এবং বোঝার চেষ্টা করুন। নিজ নিজ ভাবনা ও চিন্তাগুলো শেয়ার করুন। ভিন্ন ভিন্ন বিষয় সম্পর্কে চিন্তা না করে, আপনাদের চিন্তা-ভাবনা কেন্দ্রীভূত করুন আপনাদের সম্পর্কের পজিটিভ দিকগুলোর মাঝে।


৫। আপনাদের চিরস্থায়ী দাম্পত্য সম্পর্কের উপর জোর দিন। সম্পর্কের স্থায়ী ভালোবাসা ও বিশ্বাসের উপর জোর দিন। মনে রাখবেন আপনাদের মধ্যে আত্মীক সম্পর্ক একমাত্র একে অন্যকে নিঃশ্বর্তভাবে ভালোবাসার মধ্য দিয়েই স্থাপন করা সম্ভব; পারস্পারিক মতপার্থক্য যতই থাকুক না কেন।


৬। যদি আপনি নিজেরা সমস্যাটি সমাধানের জন্য অক্ষম হন, তাহলে একজন কাপল থেরাপিস্ট, কাউন্সেলর বা মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়ার কথা বিবেচনা করুন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও