রাজনীতি থেকে তরুণদের বাদ দেওয়ার প্রতিফল আমরা ভোগ করছি না?

প্রথম আলো মনোজ দে প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০২৩, ০৭:০২

সর্বশেষ জনশুমারি বলছে, দেশে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১৯ শতাংশের বেশি। একটু বাড়িয়ে যদি ৩০ বছর পর্যন্ত ধরা হয়, তাহলে জনমিতিক হিস্যায় তরুণেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। যেকোনো দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য এ এক বিশাল সম্ভাবনা। কিন্তু রাজনীতি কিংবা নীতিনির্ধারণে তরুণেরা কোথাও কি আছেন?


একটা রূঢ় বাস্তবতা হলো, এখন যাঁদের বয়স ১৮-৩০ বছরের মধ্যে, তাঁরা ভোটার হওয়ার পর দেশে ভোট–উৎসব দেখেনি। অথচ পিউ রিসার্চের মতো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত গবেষণা সংস্থার জরিপ বলছে, রাজনৈতিক সক্রিয়তার দিক থেকে বাংলাদেশের মানুষেরা বিশ্বে সবার চেয়ে এগিয়ে। দেশে সর্বশেষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০০৮ সালে। সে সময়ে আজকের তরুণদের অনেকের সবে শৈশব। এর পরের দুটি নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় উৎসবের আবহ তাতে ছিল না। ভোটার হওয়ার পর প্রথম ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতাটাই তাঁদের অনেকের হয়নি।


আইনজীবী, রাজনীতিক, শ্রমিকনেতা ও কূটনীতিক কামরুদ্দীন আহমদ পঞ্চাশ-ষাটের দশকের রাজনৈতিক পরিসরে পরিচিত মুখ। এ দেশের সমাজ, রাজনীতি ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশের চালচিত্র পাওয়া যায় তাঁর আত্মজৈবনিক লেখায়। ষাটের দশকে এ দেশের তরুণদের জাগরণের সঙ্গে ফ্রান্সের তরুণদের তুলনা করেছিলেন তিনি। ফরাসি বিদ্রোহের আগে থেকেই ফ্রান্সের তরুণেরা প্রাতিষ্ঠানিকতার বিরুদ্ধে প্রবল বিদ্রোহী।


সেই পরম্পরার প্রতিফলন আমরা আজও দেখছি। আলজেরিয়ার বংশোদ্ভূত ১৭ বছর বয়সী কিশোর নাহেলকে হত্যার ঘটনায় ফ্রান্সজুড়ে প্রতিবাদ চলছে। ষাটের দশকে সারা বিশ্বে প্রবল আলোড়ন তুলেছিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফরাসি তরুণদের বিদ্রোহে। শুধু ফ্রান্সের শিক্ষা অঙ্গনে নয়; শিল্প, সাহিত্য, চিত্রকলাতেও সেই অভিঘাতের ঢেউ আছড়ে পড়েছিল। ছাত্রদের আন্দোলনে সমাজের সব অংশই শামিল হয়েছিল। তাতে নারী স্বাধীনতা, তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ ফ্রান্সের সমাজে বড় সাংস্কৃতিক পরিবর্তন এনেছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও