যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলের ঢাকা সফরের পর তাঁদের কথাবার্তা নিয়ে যেসব আলোচনা হচ্ছে, তা কৌতূহলোদ্দীপক। বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রতিনিধিদল চার দিন বাংলাদেশে ছিল।
সে সময় তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেছ, রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির পরিদর্শন করেছে এবং দেশের সিভিল সোসাইটির কয়েকজন প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করেছে। এসব বৈঠকে আলাপ-আলোচনার বিষয়ের মধ্যে
নির্বাচন এবং মানবাধিকারের বিষয় যে গুরুত্ব পেয়েছে, তা গণমাধ্যমের খবরেই স্পষ্ট। সফরের উদ্দেশ্য যে তা-ই ছিল, এটা সবার জানাই ছিল। বাংলাদেশের নির্বাচন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ, ইতিমধ্যে গৃহীত পদক্ষেপ এবং এসবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষাপটে এই সফর, সেটা সবাই জানেন ও বোঝেন।
যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর যা হয়, এ ক্ষেত্রেও তা-ই ঘটেছে। ভবিষ্যতে কী ঘটবে, সবাই তার ইঙ্গিত খুঁজে বের করতে চেষ্টা করছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এসব বৈঠকের লক্ষ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৃষ্ট ‘কিছু বিষয় নিয়ে ভুল-বোঝাবুঝির’ অবসান।
- ট্যাগ:
- মতামত
- মানবাধিকার পরিস্থিতি