বর্ষাকালে যত্নে থাকুক চুল
বর্ষা মৌসুমটা কমবেশি সবার কাছেই সিনেমাটিক। ঝুম বৃষ্টিতে নীল শাড়ি পরে বাতাসে চুল ছড়িয়ে ঘুরে ঘুরে নেচে বেড়ানোর দিবাস্বপ্ন দেখতে কার না ভালো লাগে? কিন্তু বিপত্তিটা ঘটে ভেজার পর। বর্ষা মৌসুমজুড়ে অনেকে খুশকি ও মাথার ত্বকের চুলকানির সমস্যায় ভোগেন। নিয়মিত শ্যাম্পু করেও যেন চুলের আঠালো ভাব থেকে মুক্তি মেলে না। বর্ষাকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে বলে এ সময় মাথার ত্বকে প্রচুর খুশকি জন্মে। তা ছাড়া বৃষ্টির পানিতে অ্যাসিড থাকায় তা চুলের স্বাস্থ্যহানি ঘটায়। এসব থেকে মুক্ত থাকতে চুলের যত্নে রুটিন মেনে চলতে হবে।
সঠিক নিয়মে চুল আঁচড়ান
মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াতে হবে। ঘন ও চিকন দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে তা ভেঙে যায়। অনেকেই স্নানের পরপরই চুল আঁচড়ান। এতে চুল পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। কারণ, গোসলের পর চুলের গোড়া নরম থাকে। একই কারণে বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার পর চুল মুছেই মাথা আঁচড়াবেন না। শুকিয়ে নিয়ে তারপর চুল আঁচড়াবেন। রাতে ঘুমানোর আগে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে ভালোভাবে চুল আঁচড়ে ঢিলেঢালাভাবে বেঁধে ঘুমাতে হবে। ফাঙ্গাসের সংক্রমণ এড়াতে অন্যের চিরুনি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
নারকেল তেল ব্যবহার করুন
চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখার অন্যতম সহজ উপায় হচ্ছে নারকেল তেল ব্যবহার। বর্ষাকাল বলে নারকেল তেল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন না। শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে মাথার ত্বক ও চুলে নারকেল তেল ব্যবহার করলে চুল ভালো থাকবে।
বৃষ্টিতে ভিজে গেলে চুল শ্যাম্পু করতে হবে
বৃষ্টিতে ভিজে গেলে বাড়ি ফিরে চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। কারণ, বৃষ্টির পানি মাথার ত্বকের সিবাম উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুল তৈলাক্ত ও আঠালো হয়ে পড়ে। তাই এ সময় অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ ও ডিপ ক্লিনজিং শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার লাগিয়ে পর্যাপ্ত পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এরপর চুলে সেরাম লাগাতে ভুলবেন না।
- ট্যাগ:
- লাইফ
- চুলের যত্ন
- বর্ষাকালের চুল