![](https://media.priyo.com/img/500x/https%3A%2F%2Fimages.prothomalo.com%2Fprothomalo-bangla%252F2020-10%252F34a1ca18-987b-4031-87a1-629ccd32714a%252Feditorial.png%3Frect%3D0%252C0%252C1600%252C900%26auto%3Dformat%252Ccompress%26fmt%3Dwebp%26format%3Dwebp%26w%3D900%26dpr%3D1.0)
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) গত শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে, ঢাকার সবুজ ও ফাঁকা জায়গা কমতে কমতে এখন ২২ দশমিক ৬৩ বর্গকিলোমিটারে ঠেকেছে। ১৯৯৫ সালে এই পরিমাণ ছিল ৫২ দশমিক ৪৮ বর্গকিলোমিটার। মহানগরে ২০ শতাংশ সবুজ এলাকার প্রয়োজন থাকলেও আছে সাড়ে ৮ শতাংশের কম। এতে ঢাকার তাপমাত্রা সাড়ে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়েছে।
প্রশ্ন উঠছে, বাপা যে এমন ভয়াবহ তথ্য জাতীয় প্রেসক্লাবের মতো জায়গায় উপস্থাপন করল, ছাপা ও ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যমগুলো গুরুত্বের সঙ্গে তা প্রকাশ করল, এতে কার কী গেল–এল?
এই নগরের যাঁরা মা-বাপ, যাঁদের আমরা ভালোবাসায়–সম্মানে ‘নগরপিতা’ বলে সম্বোধন করি, তাঁদের বুকে কি কাঁপন ধরল? তাঁদেরও কি ছায়ার দরকার হয়? যদি হয়ই, তাহলে এই মহানগরের এমন রুক্ষ দশা কেন? অথচ তাঁরা তো নির্বাচনের আগে অনেক গালভরা বুলি ঝেড়েছিলেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ফজলে নূর তাপসের নির্বাচনী স্লোগান ছিল ‘ঐতিহ্যে-সুন্দর-সচল-সুশাসিত-উন্নত ঢাকা’। সুন্দর ঢাকা গড়তে তিনি উদ্যান নির্মাণ, সবুজায়ন, ছাদবাগানে উৎসাহ, পরিবেশবান্ধব স্থাপনা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
অথচ ডিএসসিসিকে আমরা দেখেছি বিপুল উৎসাহে ধানমন্ডিতে গাছ কাটতে। একটি গাছ কাটলে তিনটি গাছ লাগাবেন বলে সে সময় জানিয়েছিলেন মেয়র। আরও দাবি করেছিলেন, দুই লাখ গাছ ইতিমধ্যেই লাগানো হয়েছে। আরও লাগানো হবে আদি বুড়িগঙ্গায়, খালপাড়ে। ডিএসসিসির লাগানো গাছগুলো ঢাকার সবুজায়নে কতটুকু ও কী ভূমিকা রাখছে কে জানে!
উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলামের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির নামটিও বেশ, ‘সবুজে বাস, বারো মাস’। এত অনুষ্ঠান, এত প্রতিশ্রুতি—সেসবের ফল কেন নগরবাসী ভোগ করে না? এ তো গেল দুই ‘নগরপিতা’র কথা; জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গ্লাসগোতে কপ-২৬–এর বৈঠকে বিশ্বের শতাধিক দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে গাছ কাটা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।