সরকারি সংস্থার একটা ওয়েবসাইট হইতে দেশের অন্তত পাঁচ কোটি নাগরিকের নাম, ফোন নম্বর, ই-মেইল, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরসহ ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হইবার সংবাদ সংখ্যা ও গুণগত উভয় প্রেক্ষিতেই ভয়াবহ। ইহার পূর্বেও বিভিন্ন ব্যাংক ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা ঘটিয়াছিল; তবে মাত্রা ও ব্যাপ্তির দিক হইতে ইহা সর্ববৃহৎ।
আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান বিটক্র্যাকের জনৈক গবেষক বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক নাগরিকের স্পর্শকাতর তথ্যসমূহ পাবলিক সার্চ টুলে যেইরূপে সহজলভ্য দেখিয়াছেন, উহাও কম উদ্বেগজনক নহে। ইহার অর্থ, শুধু ফাঁসকারী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নহে, অন্যরাও এই সকল তথ্য হস্তগত করিতে থাকিবে। রবিবার সমকালে প্রকাশিত এতৎসংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হইয়াছে, যেই সরকারি সংস্থার ওয়েবসাইট হইতে তথ্য ফাঁস হইয়াছে, উহার সেবা পাইতে গ্রাহকগণকে অর্থ লেনদেনের তথ্যও প্রদান করিতে হয়। ফলে তথ্য ফাঁসের শিকার নাগরিকগণের আর্থিক গোপনীয়তা ও নিরাপত্তাও ঝুঁকিতে রহিয়াছে। আমাদের প্রত্যাশা, সংশ্লিষ্টরা বিষয়কে হালকাভাবে লইবার অবিমৃষ্যকারিতা করিবে না। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির উৎকর্ষের এই যুগে তথ্য ফাঁস মানেই সর্বনাশ।
- ট্যাগ:
- মতামত
- তথ্য ফাঁস
- সরকারি ওয়েবসাইট