ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি : প্রতিরোধে সচেতনতা প্রয়োজন

দৈনিক আমাদের সময় সৈয়দ ফারুক হোসেন প্রকাশিত: ০৬ জুলাই ২০২৩, ১৭:২০

রাজধানীসহ সারাদেশে বিশেষ করে ঈদের পর ডেঙ্গুর প্রকোপ বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সাল ছিল দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রেকর্ড মৃত্যুর বছর। কিন্তু গত বছর ৩ জুলাই পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছিল মাত্র একজনের। আর চলতি বছরের একই সময় পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ৯ গুণ বেশি। অর্থাৎ এ বছর মশাবাহিত এ রোগ মহাবিপদসংকেত নিয়ে এগিয়ে আসছে। বর্তমান এ পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা জ্বর হলেই ডেঙ্গু ভাইরাসের পরীক্ষা দিচ্ছেন এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পজিটিভ পাচ্ছেন। বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও ডেঙ্গুতে খুব বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালগুলোয় সাধারণত তিন ভাগের দুই ভাগই শিশু ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে। রাজধানী ছাপিয়ে এখন দেশের অন্য জেলাগুলোর প্রত্যন্ত অঞ্চলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা। প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছেন রোগী।


একদিকে বৃষ্টিপাত, আরেকদিকে দেশজুড়ে ঈদের ছুটিতে অফিস-আদালত বন্ধ ও বাসাবাড়িতে কেউ না থাকায় এসব স্থানে বৃষ্টির পানি জমে ডেঙ্গু মশা আরও বিস্তার লাভ করছে। ফলে ডেঙ্গু রোগী যেমন বাড়ছে, তেমনি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস ডেঙ্গু রোগের মৌসুম হলেও বর্তমানে প্রায় বছরজুড়েই ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বর্ষা মৌসুমের আগেই হানা দেওয়া ডেঙ্গুর প্রকোপ ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। এ ছাড়া এখন বৃষ্টি হচ্ছে, বৃষ্টির পানি বিভিন্ন জায়গায় জমে এডিস মশার প্রজনন বেশি হচ্ছে এবং ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ডেঙ্গু রোগী অনেক বেড়ে যেতে পারে এবং আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে পরিস্থিতি খুবই খারাপ হতে পারে। এই মুহূর্তে আমাদের ডেঙ্গুর হট স্পট ম্যানেজ করা দরকার। বাড়ির আশপাশে ফগ করে উড়ন্ত মশাগুলোকে মেরে ফেলতে হবে। কারণ এ উড়ন্ত মশাগুলোই এ মুহূর্তে ইনফেক্টেড মশা। এই মশাগুলো যতদিন বেঁচে থাকবে, ততদিন জ্যামিতিক হারে ডেঙ্গু ছড়াবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও