বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তিসংগতভাবেই দেশবাসীকে মিতব্যয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সরকারি সংস্থাগুলোকে সব ধরনের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় তথা অপচয় কমাতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তবে সরকারি অর্থব্যয়ে লাগাম টানার কথা বলা হলেও বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রে ভিন্নচিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে। খোদ অর্থ বিভাগের পর্যবেক্ষণ বলছে, অর্থসাশ্রয়ে অনেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগই উদাসীন। অনেক মন্ত্রণালয় এই সংকটের মধ্যেও রাস্তা নির্মাণ, নতুন ভবন নির্মাণ, স্থাপনা খাতে ব্যয় করছে।
এ খাতে অর্থব্যয়ের জন্য অর্থ বিভাগের অনুমোদনও চাচ্ছে। থেমে নেই বিদেশ ভ্রমণও! এমন অবস্থায় নতুন অর্থবছরের শুরুতেই অর্থ বিভাগ কয়েকটি খাতের ব্যয়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে বলে জানা গেছে। অর্থ বিভাগের জারি করা পরিপত্রের বরাত দিয়ে সোমবার যুগান্তরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় বেশ কয়েকটি খাতের অর্থব্যয়ে লাগাম টানা হয়েছে। অর্থ বিভাগ নতুন অর্থবছরের শুরুতেই যেসব খাতের ব্যয়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সব ধরনের ভূমি অধিগ্রহণ, সরকারি সব ধরনের আবাসিক ও অনাবাসিক ভবন নির্মাণ, সরকারি অফিস-আদালতের জন্য নতুন যানবাহন কেনা, সরকারি চাকরিজীবীদের বিদেশ ভ্রমণ ইত্যাদি। এছাড়া অর্থসাশ্রয়ের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ খাতে মোট বরাদ্দের ২৫ শতাংশ এবং জ্বালানি খাতের ২০ শতাংশ ব্যয়ও স্থগিতের আওতায় আনা হয়েছে।