কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

জামায়াত গণহত্যার জন্য দায়ী দল

www.ajkerpatrika.com মফিদুল হক প্রকাশিত: ০২ জুলাই ২০২৩, ১৫:০১

আজকের পত্রিকা: আমরা কথায় কথায় ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’র কথা বলি। দেশ কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় চলছে?


মফিদুল হক: দেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় চলছে কি না, সেটা এক বড় প্রশ্ন এবং এই প্রশ্নের মধ্যে নিহিত রয়েছে আরও অনেক প্রশ্ন। প্রথমত, বলতে হয় ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ নিয়ে। এই অভিধা নানাভাবে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করা যায়, করা দরকারও, তবে সারসত্য সন্ধানে আমাদের ইতিহাস থেকে শিক্ষা ও দীক্ষা নিতে হবে। ধর্মের নিরিখে সাম্প্রদায়িক বিভাজন ঘটিয়ে যে সংঘাত, হানাহানি বিশ শতকের প্রথমার্ধে উপমহাদেশের সমাজ ও জীবন সমস্যাকীর্ণ এবং রক্তাক্ত করে তুলেছিল, সেই সংকট থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার নামে দ্বিজাতি-তত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল পাকিস্তান। ইসলাম ধর্মের আওতায় নানা দেশের নানা জাতি, বর্ণ ও ভাষাভাষী গোষ্ঠী রয়েছে। ধর্ম তাদের ভাষা ভুলিয়ে দেয় না, জাতি-পরিচয়ও মুছে ফেলে না। এখানেই ধর্মের সৌন্দর্য, যা মানুষে মানুষে মিলনের ক্ষেত্র তৈরি করে, স্রষ্টার প্রতি নিবেদিত মানুষের আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটায়। কিন্তু রাজনীতিকে যখন গ্রাস করে ধর্ম, রাজনৈতিক মতাদর্শ চাপিয়ে দেওয়া হয় ধর্মের ওপর, ধর্মকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য অর্জনে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তখনই ঘটে বিভ্রম, বিকৃতি, বিবাদ ও বিনাশ। মুসলমানের আবাসভূমির নামে, মুসলমানরা ‘এক জাতি’ এমন রাজনৈতিক ঘোষণার ভিত্তিতে, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৭ সালে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পাকিস্তানের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হয় পশ্চিমে এবং সেখান থেকে শাসিত ও শোষিত হতে থাকে হাজার মাইল দূরের পূর্ব বাংলার বাঙালিরা। এই ঔপনিবেশিক শাসন পোক্ত করতে ধর্মকে করা হয় হাতিয়ার, অস্বীকার করা হয় বাঙালির জাতিসত্তা, বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির অধিকার। এর বিপরীতে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক তথা জাতীয় অধিকারের আন্দোলন পরিণতি পায় মুক্তিযুদ্ধে, বাঙালি প্রতিষ্ঠা করে তার নিজস্ব রাষ্ট্র—বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তাই ইতিহাসে প্রোথিত, ইতিহাস দ্বারা নির্মিত, যা বাংলাদেশ আন্দোলনের ভিত্তি এবং যা প্রতিফলিত হয়েছে ১৯৭২ সালের সংবিধানে চার রাষ্ট্রাদর্শে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও