স্বাস্থ্য ব্যবসা এতটা নির্দয় হবে কেন

সমকাল ফরিদা আখতার প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০২৩, ০২:৩১

মাহবুবা রহমান আঁখি মারা গেছেন; মারা গেছে তাঁর নবজাত শিশুটিও, যার নাম রাখারও সুযোগ হয়নি মা-বাবার। এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। স্রেফ হাসপাতাল ও চিকিৎসকের অবহেলার কারণেই নির্মমভাবে একটি পরিবারের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে গাইনি ও প্রসূতি বিভাগে এবং এখন পত্রপত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত।


আঁখি কুমিল্লা থেকে এসে ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে প্রসূতিকালীন চিকিৎসা বা পরামর্শ নিচ্ছিলেন বলে জানা যায়। গত ৯ জুন প্রসব ব্যথা উঠলে তাঁকে সেন্ট্রাল হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে সি-সেকশন সার্জারি করা হয়। জন্মের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নবজাতকের মৃত্যু হয় এবং আঁখির অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। এর পর তাঁকে ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিউতে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ জুন মাহবুবা রহমান আঁখির মৃত্যু হয়। ল্যাবএইডের ভাষ্যমতে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে থাকার পরও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ঠেকানো গেল না– এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। এখানে চিকিৎসায় অবহেলা বা ভুলের বিষয়টি আড়াল করা হচ্ছে। এ নিয়ে কথা বলা দরকার।


ঘটনাটি মামলা এবং আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে আঁখির স্বামী ইয়াকুব ডা. সংযুক্তা সাহা, হাসপাতালের গাইনি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক, ব্যবস্থাপকসহ কয়েকজনকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় ডা. সংযুক্তা সাহার দুই সহযোগী ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা ও ডা. মুনা সাহাকে ওইদিন রাতেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পরদিন তাঁরা আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁদের জবানবন্দি রেকর্ড করে বিচারক এ দুই চিকিৎসককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সেন্ট্রাল হাসপাতালে অস্ত্রোপচার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। আইসিইউ ও জরুরি সেবার মান ‘সন্তোষজনক’ না হওয়ায় এই নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক দল।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও