You have reached your daily news limit

Please log in to continue


শিক্ষার পরিবেশই নেই, শিক্ষিত জন্মাবে কীভাবে?

শিক্ষাব্যবস্থায় দেশের পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতার ভূমিকাকে কোনোভাবেই খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। খাটো করে দেখলে যা হয়, আমাদের দেশের শিক্ষার বেহাল অবস্থা তার বাস্তব প্রমাণ। বলা যায়, এক বৈঠকে যত দেশের নাম মনে আসে, সব দেশের তুলনায় শিক্ষার উন্নয়ন ও মানের ক্ষেত্রে আমরা অনেক পেছনে পড়ে গেছি। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, এ অবস্থায়ও আমাদের কোনো গাত্রদাহ হয় না। বরং এ ধরনের লেখালেখিতে সংশ্লিষ্ট পক্ষ বিরক্ত হন। আমাদের ছেলেমেয়েরা এজন্য কোনোভাবেই দায়ী নয়, পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতাই এজন্য দায়ী। অথচ দায়ভারটা ছেলেমেয়ে ও অভিভাবকদের ওপরে এসে পড়ে। এভাবে দেশ পিছিয়ে যায়।

এদেশের শিক্ষানীতির লক্ষ্য অর্জনে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হলো সুষ্ঠু পরিবেশ-পারিপার্শ্বিকতার অভাব। আমরা ভবিষ্যৎ ভেবে যেমন কাজ করি না, আবার আগেভাগে প্রতিবিধানের চেষ্টাও করি না। অব্যবস্থা ও কর্দমাক্ত স্রোতে গা ভাসিয়ে দিই। আমাদের একটা মানসিক ব্যামো হলো, আমরা আগে বোঝার চেষ্টা করি না, কম পড়লে পরে টের পাই। যারা সিদ্ধান্ত নেন, তারা ফল ভোগ করেন না। ফল ভোগ করে সাধারণ মানুষ ও দেশ। তখন বিলাপ করা ও পারস্পরিক দোষারোপ করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। আমরা অনিয়ম, অব্যবস্থা, স্বজনপ্রীতি, সামাজিক-দুর্বৃত্তায়ন, বিকৃত রাজনীতির চিন্তাধারা ও অমানবিক মনোভাবের জাঁতাকলে চ্যাপটা হয়ে অর্ধেক অঙ্গ নিসাড় হওয়া ন্যাংচাতে ন্যাংচাতে চলা চতুষ্পদের মতো পড়ে ধুঁকছি। এদেশে সবচেয়ে বড় অসুবিধা হচ্ছে, ‘চোরের মা-র বড় গলা’, বিবেকের দংশন বলে কিছু নেই এবং আমরা নির্দ্বিধায় ব্যক্তিস্বার্থ বিবেচনায় সবকিছু মেনে নিই। অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি, মিথ্যাচার, প্রতারণা, মুখে মধু পেটে বিষ, আত্মবিভাজন, পরচর্চা আমাদের পরিবেশকে ক্রমেই ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এসবই শিক্ষার অভাব। এর জন্য বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থী, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। আমরা রাজনৈতিক দলবাজি, অপচিন্তা ও গলাবাজিতে এতই উন্মাদ ও মত্ত হয়ে গেছি যে, ন্যায়-অন্যায় বোধটুকুও হারিয়ে ফেলেছি। প্রকৃতির প্রতিশোধ বলে তো একটা কথা আছে-তা-ও বিস্মৃত হয়েছি। এসবের প্রতিফল ও পরিণতি ভেবে দেখার একমুহূর্তও ফুরসত নেই আমাদের। চারদিকে সুস্থ-সাবলীল চিন্তার চর্চা ও বিকাশ নেই। অন্তত প্রতিদিনের পত্রিকাটা একটু গভীরভাবে পড়লেই আমরা এ জনগোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তাযুক্ত ও হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ি। একটা দেশ ও জাতি গড়ার জন্য বায়ান্ন বছর একেবারে কম সময় নয়। বায়ান্নটা বছর আমরা পার করে ফেললাম-এ পরিস্থিতির কোনোক্রমেই উন্নতি হলো না। অথচ একটি সুশিক্ষিত জাতিই কেবল মানবসম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে ভবিষ্যৎ উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে সক্ষম। আমরা মানবসম্পদকে পচিয়ে ফেলেছি, সেখান থেকে শুধুই দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। শিক্ষার উন্নয়ন মানেই মানবসম্পদের উন্নয়ন। এদেশের শিক্ষাব্যবস্থা বহুমাত্রিক সমস্যায় জর্জরিত, যা আমরা প্রত্যেকে অবগত। আমি পরিসংখ্যান তুলে না ধরে পরিবেশ-পারিপার্শ্বিকতার বাস্তব অবস্থা নিয়ে কিছু কথা বলব।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন