বাইডেন–ফ্লেশন, পুতিন–ফ্লেশন নাকি বাংলা–ফ্লেশন
অনেকটা সেই টাক মাথায় চুল গজানোর বিজ্ঞাপনের মতো—চিকিৎসার আগে ও পরে। এবারের মুদ্রানীতিকেও এভাবে বিশ্লেষণ করা যায়—আইএমএফ আসার আগে ও পরে। এ জন্য অবশ্য বেশি দূরে যেতে হবে না। আব্দুর রউফ তালুকদার গভর্নর হওয়ার পরে প্রথম মুদ্রানীতি দিয়েছিলেন গত ১৫ জানুয়ারি। দেখা যাক তখন বাংলাদেশ ব্যাংক কী বলেছিল।
গত জানুয়ারিতে মুদ্রানীতি দেওয়ার সময় দেশে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। এরপরও টাকার জোগান আরও বৃদ্ধি এবং সরকারকে বেশি ঋণ দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করা ছিল মুদ্রানীতিতে। বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের ঠিক করা সাড়ে ৬ শতাংশ হারে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য অর্জন সামনে রেখেই মুদ্রানীতি দিয়েছিল। এ লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাখ্যা ছিল, তারা ভোক্তাঋণের সুদহার বাড়িয়ে চাহিদা কমাবে, অপ্রয়োজনীয় আমদানি কঠিন করবে এবং পুনঃ অর্থায়ন ও প্রাক্-অর্থায়ন তহবিলের মাধ্যমে উৎপাদনশীল খাতে ঋণের পর্যাপ্ত জোগান নিশ্চিত করবে।