২৫০ কোটি টাকার খনন ‘পানিতে’
ফরিদপুর শহরের প্রাণ কুমার নদের দখল-দূষণ কমিয়ে নাব্যতা ফেরাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ২০১৮ সালে ২৫০ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে পুনঃখননের উদ্যোগ নেয়। ৩০ জুন প্রকল্প শেষ হতে যাচ্ছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে নদে ১০ কোটি ঘনমিটার পানি প্রবাহ সৃষ্টির মাধ্যমে ২৩ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে সেচসুবিধার লক্ষ্য ধরা হয়েছিল। যার মাধ্যমে প্রতিবছর ৩৪ হাজার ১০৪ মেট্রিক টন অতিরিক্ত ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও ধরা হয়েছিল।
প্রকল্পের শেষ সময়ে এসে দেখা যাচ্ছে, কাজ যথাযথভাবে না হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত সুফল মেলেনি। নদের দখল ও দূষণ তো কমেইনি, উল্টো নদের বুকে বর্জ্য ফেলা বেড়েছে। ফেরেনি নাব্যতাও। ফলে আড়াই শ কোটি টাকার পুনঃখননের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কিছুই অর্জন হয়নি।
ফরিদপুর সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়নের মদনখালী এলাকায় পদ্মা নদী থেকে কুমার নদের উৎপত্তি। ফরিদপুর শহর গড়ে উঠেছে এই নদের দুই পারে। ১২১ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে গোপালগঞ্জের সেনদিয়া এলাকায় আড়িয়াল খাঁ ও মধুমতি নদীর সংযোগ খাল বিলরুট ক্যানেলে গিয়ে শেষ হয়েছে কুমারের যাত্রাপথ।
পাউবো সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে ২১ এপ্রিল কুমার নদ খনন প্রকল্প শুরু হয়। কিন্তু ব্যক্তিমালিকানার জমিসংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়ায় উৎসমুখ মদনখালী এলাকার অন্তত ২০০ মিটার অংশে খনন করা যায়নি। ফলে মাতৃনদী পদ্মার সঙ্গে সংযোগ ঘটানো যায়নি।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- খনন প্রকল্প
- খাল খনন
- নাব্যতা সংকট
- খনন