তিন সিটি নির্বাচন : কী বার্তা দিল
গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় নির্বাচনের বিকল্প নেই। কেননা জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সরকার পরিবর্তনের একমাত্র মাধ্যম হলো নির্বাচন। আর সে নির্বাচনকে অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হতে হয়। একটি দেশে সরকারের প্রকারভেদে কখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা দেশটির সংবিধান দিয়ে নির্ধারিত। এরই ধারাবাহিকতায় আগামীতে অনুষ্ঠিত হবে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে জনগণের রায় নিয়ে সরকার গঠিত হবে এবং জন-আকাক্সক্ষা পূরণ হবে আমরা এই প্রত্যাশা করছি। সম্প্রতি ইর্ভিএম পদ্ধতিতে তিন সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সুষ্ঠুভাবেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন ভোটাররা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছেÑ জাতীয় নির্বাচনের আগে সিটি নির্বাচনের দিকে সবার নজর থাকায় সুষ্ঠু নির্বাচন করার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন যে বদ্ধপরিকর তারই যেন আবারও প্রতিফলন ঘটল, যা অদূর ভবিষ্যতে অনুষ্ঠিতব্য আগামী জাতীয় নির্বাচনের দিকেই ইঙ্গিত করে। শুধু সিটি নির্বাচনই নয়, সাম্প্রতিক সময়ে হওয়া বেশ কয়েকটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনেও ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়েছে। ভোটও সুষ্ঠু হয়েছে, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট প্রয়োগ করেছেন ভোটাররা। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনায় আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে আমরা তা বলতে পারি। সে রকম ব্যবস্থাপনা ও সক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের রয়েছে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- নির্বাচন
- বার্তা
- সিটি নির্বাচন
- ভোটার