উন্নয়নের মডেল মিরাকল থেকে মরীচিকায় পরিণত হয়েছে

সমকাল রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২৩, ০১:০১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক শেষে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উন্নয়ন ও আর্থিক অর্থনীতিতে এমএসসি এবং অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বাণিজ্যনীতি ও ব্যবসায়িক কূটনীতিতে কার্লটন ও অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদপ্রাপ্ত। শিক্ষকতা করেছেন রয়্যাল হলওয়ে, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘উন্নয়ন অন্বেষণ’-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন। তাঁর উল্লেখযোগ্য বই– যুদ্ধোত্তর থেকে করোনাকাল (২০২২), ফিসকাল অ্যান্ড মানিটারি পলিসি’জ ইন ডেভেলপিং কান্ট্রিজ (২০২১), নাম্বারস অ্যান্ড ন্যারেটিভস ইন বাংলাদেশ’স ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (২০২২), স্টেইট বিল্ডিং অ্যান্ড সোশ্যাল পলিসি’জ ইন ডেভেলপিং কান্ট্রিজ (২০২২), হোয়াই ইকোনমিক প্রডাক্টিভিটি ফেইলস (২০২৩) ইত্যাদি।


ফারুক ওয়াসিফ: পরিকল্পনামন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন, আমাদের অর্থনীতি চকচকে কিন্তু গভীরতা কম;  সামান্য বাতাসেই কেঁপে ওঠে। মূল্যস্ফীতিতে মানুষ ভুগছে; ডলার সংকট; বিদ্যুৎ ঘাটতি। এত আয়োজন সত্ত্বেও কীভাবে বাংলাদেশ এই অবস্থায় এসে পড়ল?


রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: গত ১২ বছরের মধ্যে গত মে মাসে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি হয়েছে। মূল্যস্ফীতির যুক্তি ছিল দুটি: কভিডকাল ও ইউক্রেন যুদ্ধ। এই দুটি কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম স্বাভাবিক হয়ে এলে এখানেও স্বাভাবিক হবে। অনেক দিন ধরে তেলের দাম স্বাভাবিক হয়ে ব্যারেলপ্রতি ৭০-৮০ ডলারে নেমে এসেছে, কিন্তু দাম কমেনি। খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত যে আটটা পণ্যের দাম ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল, সেখানেও দাম কমেনি। এবারে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের দামও বেড়ে গেছে। এ পরিস্থিতি থেকে যেসব দেশের উত্তরণ ঘটেছে, যেমন ইউরোপে বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র; সেখানে রাষ্ট্র বড় ভূমিকা নিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ রাষ্ট্র সেই ভূমিকাটা রাখতে পারছে না। তার সেই সক্ষমতা নেই। কারণ এই রাষ্ট্রের যে কর কঠামা, অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ কর সংগ্রহের যে ক্ষমতা, তা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে নিচে; আফগানিস্তানেরও পরে। একদম তলানিতে। অর্থাৎ রাষ্ট্র নিজেই তার দেনা পরিশোধ করতে পারছে না। যেমন পারছে না জ্বালানির ক্ষেত্রে। এখানে তৈরি হয়েছে দ্বিতীয় অবস্থা, যেখানে রাষ্ট্র আরও ঋণ নিচ্ছে। ঋণ নিতে চেয়েছিল ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে। কিন্তু দেখা গেল, ব্যাংকগুলো অক্ষম। তখন ঋণ নিতে গিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে তখন টাকা ছাপাতে হচ্ছে। পত্রিকান্তরে জানা যাচ্ছে, যে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা নতুন করে ছাপানো হয়েছে; এখানে অর্থের গুণপ্রবাহ ৫ গুণ বলে, আসলে তা দাঁড়াচ্ছে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার মতো। এটা মূল্যস্ফীতি আরও উস্কে দিচ্ছে। তার মানে, রাষ্ট্রের সক্ষমতার অভাবের কারণেও আরেকবার মূল্যস্ফীতি ঘটছে। এর ফলে, জীবনযাত্রায় বড় রকমের হাঁসফাঁস অবস্থা তৈরি হচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও