‘কাপালিক’ থেকে ‘দাদা ভাই’: রহস্যময় সিরাজুল আলম খান

ডেইলি স্টার প্রকাশিত: ০৯ জুন ২০২৩, ২২:৫০

বাস্তবে নয়, তিনি ছিলেন গল্পের বিষয়। দেশের অধিকাংশ মানুষই তাকে কোনোদিন দেখেননি, কিন্তু তার গল্প শুনেছেন। গল্পে তার প্রতি মোহ তৈরি হতো। তরুণরা সেই মোহে আকৃষ্ট হতেন। গল্পে কখনো তিনি কপালকুণ্ডলার 'কাপালিক', কখনো রাজনীতির 'দাদা ভাই'। জাসদ নেতা আ স ম রবের ভাষায় 'তিনি আমাদের নেতার নেতা, মহান নেতা, তাত্ত্বিক নেতা'। রহস্যময় জীবনযাপন তাকে রহস্য মানবে পরিণত করেছে। যতটা তাকে জানা যায়, অজানা থাকে তার চেয়ে বহুগুণ বেশি।


বলছি সিরাজুল আলম খানের কথা।


বাংলামোটর এলাকায় ফুটপাত ধরে তাকে হেঁটে যেতে দেখেছি। কাশফুলের মতো সাদা-লম্বা চুল, বড় বড় গোঁফ-ভ্রু, লম্বা দাড়ি। পরনে সাদা পায়জামা, পাঞ্জাবি বা ফতুয়া। ঠিক যেন বইয়ে পড়া ঋষি বা দরবেশের অবয়ব। বেশ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন শাহবাগের দিকে। সম্ভবত হাতে একটি লাঠিও থাকত। পরে জেনেছি, তার গন্তব্য শেরাটন হোটেল। এটা ছিল তার জীবনের প্রায় প্রতিদিনের রুটিন।


তাকে দেখা বলতে এতটুকুই। কোনোদিন সামনা-সামনি দেখা হয়নি, কথা হয়নি। কয়েকবার চেষ্টা করেছিলাম। জেনেছিলাম, তিনি তার রাজনৈতিক শিষ্য বা অনুগত বা পরিচিত বিশ্বস্তজন ছাড়া কারও সঙ্গে দেখা বা কথা বলতে আগ্রহী ছিলেন না।


সিরাজুল আলম খান বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে স্নেহধন্য প্রভাবশালী ছাত্রনেতা থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে হয়ে উঠেছিলেন বঙ্গবন্ধু সরকার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম রূপকার। তার রহস্যময় জীবন-কর্মকে রহস্যের চাদরে আবৃত রেখেই আজ তিনি চলে গেলেন। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। জন্মেছিলেন ১৯৪১ সালের ৬ জানুয়ারি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলীপুর গ্রামে। বেশকিছু দিন অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। নীরবে এক ধরনের অবহেলায় কাটল তার শেষ সময়টা। গণমাধ্যমও তার খবর নেয়নি, তার খবর তেমন একটা প্রকাশ করেনি।


অথচ তিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন-সংগ্রাম ও স্বাধীনতা পরবর্তী রাজনৈতিক মেরুকরণের অন্যতম নিয়ামক শক্তি। তিনি যেভাবে চেয়েছেন, যা করতে চেয়েছেন, তাই করেননি—করিয়েছেন। ঠিক এতটাই প্রভাবশালী ছিলেন সিরাজুল আলম খান।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও