![](https://media.priyo.com/img/500x/https://www.deshrupantor.com/assets/importent_images/a.jpg)
যেজন্য বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের মাথা ঘামানো উচিত নয়
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রসহ চারটি দেশের কূটনীতিকের ওপর থেকে ‘অতিরিক্ত পুলিশ’ প্রটোকল প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ। অনেকে আমেরিকার সাম্প্রতিক ভিসানীতিকে এ ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবেও দেখছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, দেশটি (আমেরিকা) হয়তো তাকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এ অভিযোগ শুধু শেখ হাসিনারই নয়, বিশ্বজুড়েই বিভিন্ন দেশের ক্ষমতার পালাবদলের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাক গলানোর ইতিহাস আরও জটিল।
বিশ্বজুড়ে মার্কিন স্বার্থবিরোধী হওয়ার কারণে অথবা গণতন্ত্রের প্রয়োজনের কথা বলে কিংবা কর্র্তৃত্ববাদী সরকার থাকলে সেসব দেশের ‘সরকার পতনে’ ঐতিহাসিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতার নজির রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করা যেতে পারে হাওয়াই, কিউবা ও ক্যারিবিয়ান দেশগুলোর কথা। এসব দেশের ক্ষেত্রে মার্কিন সংশ্লিষ্টতা বা কলকাঠি নাড়ার মাত্রা অনেকটাই সরাসরি ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৭ সালে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)’ প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমেরিকা তাদের এসব কর্ম বেশ গোপনেই সারছে। পরের দুই দশকের মধ্যে ১৯৫৩ সালে ইরানে, ১৯৫৪ সালে গুয়েতেমালায় ও ১৯৬৩ সালে দক্ষিণ ভিয়েতনাম তার উদাহরণ। ২০০০ সালে যুগোসøাভিয়ার প্রেসিডেন্ট সেøাবোদান মিলোসেভিচের পতন ও ২০০৩ সালের ইরাক আক্রমণে সিআইএ’র ভূমিকা অনেকটাই স্পষ্ট। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বিগনিউ ব্রেজেনস্কি সে সময় জর্জ ডব্লিউ বুশকে বোঝাতে চেয়েছিলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার বিপজ্জনক হতে পারে।