বড় শহরগুলোতে কেন জনচাপ কমাতে হবে
ঢাকা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কারণে অনেক সময় নগরবাসীর মনে তিক্ততা তৈরি হয়। গাছ কাটা, পরিবেশ ধ্বংস, অগ্নিদুর্ঘটনা, গণপরিবহনে যানজট এসব নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। জনগণ অন্যায্য কিছু বলেন না এবং কামনাও করেন না। জনবহুল দেশ আমাদের। মানুষের ভিড়ে চাপা পড়ে গেছে স্বপ্নসাধ। এমনকি বাঁচার উপায়ও যেন ধীরে ধীরে উধাও হতে শুরু করেছে। কয়েকদিন আগে ঢাকার বাতাস ছিল সবচেয়ে বেশি দূষিত। ওইদিন এ অঞ্চলের বাতাসে পিএম২.৫-এর মাত্রা ছিল ২৬৩ দশমিক ১ এবং বাতাসের মান ছিল ৩১৩। যা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। আইকিউ এয়ারের পূর্বাভাস বলছে, আগামী দিনেও ঢাকায় বাতাসের মানে উন্নতির সম্ভাবনা নেই। অর্থাৎ আগামী সপ্তাহেও এ শহরের বায়ু থাকবে অস্বাস্থ্যকর।
গত ১১ দিন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণের শহর ছিল রাজধানী ঢাকা। নতুন বছর শুরুর পর এখনও একদিনও স্বাস্থ্যকর বায়ু পায়নি ঢাকাবাসী। গত মাসের ৩১ দিনের মধ্যে ২২ দিনেই ঢাকা শহরের বায়ু ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ ছিল। আর বাকি ৯ দিন ছিল ‘অস্বাস্থ্যকর’। ফলে প্রতিদিনই বিষে ভরা বাতাস শহরবাসীর নাকে ঢুকেছে। এতে বাড়ছে স্বাস্থ্যগত সমস্যাও। ৩০ মে সকালে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই- বায়ুর মানসূচক) স্কোর ২৯১, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ঢাকা থেকে ১০০ কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা করাচির বায়ুর মান ছিল ১৯১। গত সোমবারও ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ২৬৩।