সরে আসার ভাবনা থাকলেও বাজেটে বাড়বে ভর্তুকি: পরিকল্পনামন্ত্রী
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শ থাকলেও বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি সুবিধা দেওয়ার কার্যক্রম থেকে হুট করে বেরিয়ে আসতে চায় না সরকার। পর্যায়ক্রমে কৌশলগতভাবে তা করার কথা বলেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
আর তাই কোভিড মহামারীর পর ইউক্রেইন যুদ্ধের প্রভাবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থবিরতার মধ্যেও আসন্ন বাজেটে কৃষি এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ভর্তুকি না কমিয়ে বরং বাড়ানোর প্রস্তাব আসতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আগামী ১ জুন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব জাতীয় সংসদে ওঠার আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী বলেন, ভর্তুকি শেষ পর্যন্ত ন্যায়ের বিপক্ষে যায়।
“ভর্তুকির বিষয়ে শুধু আইএমএফের কথা নয়, আমরাও চাই ভর্তুকি তুলে দিতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বলেছেন, ভর্তুকি শেষ বিচারে নাইদার ইকোনমিক, নর জাস্টিস, ফেয়ারও নয়। কারণ আপনাকে ভর্তুকি দিলে উনাকে কম দিতে হয়।”
মান্নান, বলেন, “আমরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আরও বেশি ব্যয় করতে পারতাম, কিন্তু পারছি না। হঠাৎ করেতো বেরিয়ে আসা যায় না। পর্যায়ক্রমে কৌশলগতভাবে বেরিয়ে আসতে হবে। আইএমএফও তাই বলে। আইএমএফ আমাদেরকে বলে নাই যে, আপনারা এক ধাপে বৈপ্লবিকভাবে পাল্টে দেন। আইএমএফ বলছে, আপনারা এগুলো নিয়ে চিন্তা করেন। আমরা ভর্তুকি থেকে সরে আসার চিন্তা করছি।”
ভর্তুকি বাড়বে, আওতা নয়
নতুন বাজেটে ভর্তুকি কেমন হতে পারে, জানতে চাইলে সরকারি চাকরি থেকে রাজনীতিতে এসে মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া এমএ মান্নান বলেন, “(ভর্তুকি থেকে) সরে আসার ক্ষেত্রে আমাদেরও কিছু বক্তব্য আছে। ঢালাওভাবে সবক্ষেত্র থেকে আমরা সরে আসব না। সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় অসহায় মানুষদের যে সামান্য টাকা দেয় সেখান থেকে আমরা সরে আসতে পারব না, বরং এখানে আমি বলব আরও বাড়াও।