কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বৃষ্টিতে কি ঘামাচি মরে

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২৩, ০৯:০৫

বর্ষার প্রথম বর্ষণ নাকি ত্বকের রোগবালাই দূর করে। বৃষ্টিতে নাকি ঘামাচির যন্ত্রণারও উপশম হয়। বৃষ্টির পানির কি সত্যিই এমন কোনো গুণ আছে? প্রচলিত ধারণার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি কতটা মজবুত, তা জেনে নেওয়া যাক।


ঘামাচি হয় অতিরিক্ত গরমের কারণে। তবে সবারই ঘামাচি হয় না। গরমে কারও কারও অ্যালার্জি হওয়ার প্রবণতা থাকে, এই ঘামাচির সমস্যায় তাঁরাই ভোগেন বেশি। অতিরিক্ত ঘামের কারণে ঘর্মগ্রন্থির নিঃসরণে বাধা বা ঘর্মগ্রন্থির প্রদাহও ঘামাচির কারণ। শীতল পানির পরশ ঘামাচির সাময়িক এবং আংশিক প্রতিকার দেয়। ‘বৃষ্টির পানির তাপমাত্রা কম থাকার কারণেই এই পানিতে ভিজলে ঘামাচির যন্ত্রণার খানিকটা লাঘব হয় বলে জানালেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মতলেবুর রহমান।


জলের ধারায় উপকার


ঘামাচির যন্ত্রণায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা সুযোগ পেলে যেমন বৃষ্টিতে ভিজতে পারেন, তেমনি ঘরেও শীতল জলের ধারায় গা জুড়াতে পারেন। বরফগলা পানি, বরফ মেশানো পানি কিংবা ঠান্ডা পানি মেশানো পানিতে গোসল করা যেতে পারে। বারবার গোসল করা সম্ভব না হলে আক্রান্ত স্থানে বারবার ঠান্ডা পানি ঢালতে পারেন। এ ছাড়া কাজে লাগাতে পারেন মাটির পাত্রের পানি। মাটির কলসে বা অন্য পাত্রে পানি রাখা হলে বেশ ঠান্ডা থাকে। এই পানিতেও গোসল করা যেতে পারে। পাতলা সুতি কাপড়ে বরফ জড়িয়ে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে আলতোভাবে স্পর্শ করা যেতে পারে। কিংবা এ ধরনের কাপড়কে ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে সেটি দিয়ে শরীর মোছা যেতে পারে।


পাউডারে প্রশান্তি?


বাজারে নানা ধরনের ঘামাচি পাউডার পাওয়া যায়। ‘প্রিকলি হিট’ উল্লিখিত কিছু কিছু পাউডার ঘামাচির সমস্যায় খানিকটা কার্যকর হলেও এগুলো কিন্তু ঘামাচি সমস্যার সমাধান নয়। ঘামাচি প্রতিকারে চাই শীতল পরশ। এ ছাড়া ঘামাচি প্রতিকার এবং প্রতিরোধের জন্য দৈনন্দিন জীবনযাত্রার কিছু দিক খেয়াল রাখা বাঞ্ছনীয়। তা ছাড়া অতিরিক্ত পাউডার প্রয়োগে লোমকূপ যাতে বন্ধ হয়ে না যায়, সেদিকেও লক্ষ রাখা উচিত।

জেনে রাখা ভালো


যাঁদের ঘামাচির প্রবণতা রয়েছে, তাঁদের জন্য কিছু পরামর্শ—


• সরাসরি রোদের উত্তাপ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। রোদে ছাতা ব্যবহার করুন।


• সম্ভব হলে তুলনামূলক ঠান্ডা পরিবেশে থাকুন।


• পাতলা সুতি কাপড়ের তৈরি ঢিলেঢালা পোশাক পরুন।


• বাতাস চলাচল করে, এমন জায়গায় ঘুমান।


• বারবার ত্বকে ঠান্ডা পানি প্রয়োগ করলেও ত্বক ভেজা রাখা যাবে না। অর্থাৎ, পানি দেওয়ার পর ত্বক মুছে ফেলতে হবে।


• ত্বকে তেল বা কোনো অয়েনমেন্ট লাগাবেন না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও