৫২৯ কোটি টাকার এনএসডব্লিউ প্রকল্প শুধু কাগজে
দেশের বাণিজ্য পদ্ধতি সরলীকরণ, বাণিজ্য ব্যয় কমানো এবং অটোমেশনের মাধ্যমে বাণিজ্য কার্যক্রম গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডোজ (এনএসডব্লিউ) প্রকল্প হাতে নেয়। বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এতে বিশ্বব্যাংক ৫২৯ কোটি টাকা এবং সরকারের ব্যয় ধরা হয় ৫৬ কোটি টাকা। একই সালের ৩১ অক্টোবর মধ্যে প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে প্রকল্পটি থেমে যায়। গত ৪ বছরেও তা চালু করা যায়নি। পরে এর মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৬ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত সার্টিফিকেট, লাইসেন্স, পারমিট (সিএলপি) প্রতিনিধিদের সঙ্গে গত ১১ এপ্রিল বৈঠক হয়।বৈঠকে বলা হয়, প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত ১৯টি সংস্থাকে একক অনলাইন পোর্টালে আনা হবে। এতে সার্টিফিকেট, লাইসেন্স, পারমিট আবেদন গ্রহণ, প্রক্রিয়াকরণ, ইস্যুকরণ ও পাঠানোসংক্রান্ত সেবা নিশ্চিত করা যাবে। সার্টিফিকেট, লাইসেন্স পারমিট ইস্যু অথরিটিসহ ৩৯টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে। প্রতিটি সার্টিফিকেট বা লাইসেন্স অনুমোদনকারী সংস্থার একজন করে ফোকাল পয়েন্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন ও সহযোগী ইউনিট গঠন করা হয়।
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান, এটা বাস্তবায়ন হলে ঘুষ-বাণিজ্য কমে আসবে। বিএসটিআইয়ের ফোকাল পয়েন্ট আরাফাত হোসেন সরকার বলেন, এনএসডব্লিউ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মানুষের সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে। বর্তমান আইন ও বিধি অনুযায়ী আমদানি করা পণ্যের প্রতিটি চালান পরীক্ষা-নিরীক্ষা ব্যতীত ছাড়করণের উপায় নেই। কোনো প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে পণ্য আমদানি করে থাকলে সেসব প্রতিষ্ঠানের পণ্য বিনা পরীক্ষায় ছাড়করণে আইনবিধি সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে।