দুর্নীতিবাজদের টুঁটি চেপে ধরার কি কেউ নেই?

যুগান্তর এ কে এম শামসুদ্দিন প্রকাশিত: ০৮ মে ২০২৩, ১০:২০

উপরের শিরোনাম দেখে অনেকেই হয়তো মনে করবেন দেশে নতুন কোনো বড় দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। খোঁজ নিয়ে দেখেছি, এমন কোনো ঘটনার খবর দেশের কোনো গণমাধ্যমে আসেনি। তবে গণমাধ্যমে না এলেও বাংলাদেশে দুর্নীতি যে থেমে নেই, এ কথা হলফ করে বলাই যায়। এক যুগেরও বেশি সময় বাংলাদেশ যেভাবে দুর্নীতির অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে, তাতে ওরকম কিছু ঘটলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, গত দশ-বারো বছরে দুর্নীতি বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। তারপরও দুর্নীতির এমন কিছু কিছু ঘটনা ঘটে, যা তাৎক্ষণিকভাবে জানার উপায় থাকে না। কারণ, দুর্নাম হবে বলে এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি এক মাসেরও বেশি সময় পর দেশের মানুষ জেনেছে। এমন আরও কিছু ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার যে চেষ্টা হয় না, তা কে বলতে পারে! দেশের অনেকেরই ধারণা, কারও কারও বেলায় এ ধামাচাপা দেওয়ার বিষয়ে উঁচু মহলের আশীর্বাদ থাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শেষ রক্ষা হয় না; জনসম্মুখে তা প্রকাশ পেয়ে যায়।


তবে রাঘববোয়ালদের দুর্নীতির খবর জনসম্মুখে প্রকাশ পেলেও ক্ষতি নেই। প্রথম কিছুদিন এ নিয়ে হইচই হয়। দেশের গণমাধ্যমগুলো বড় বড় শিরোনাম করে। আমাদের মতো কিছু কলাম লেখক দুর্নীতিবিষয়ক দু-একটি নিবন্ধ লেখেন। টেলিভিশনের টকশোতে আলোচনার ঝড় ওঠে, দুদক দুর্নীতিবাজদের খুঁটির জোর বুঝে নড়েচড়ে বসে, ক্ষমতাসীন দলের কিছু মুখচেনা নেতা দেশের অবোধ মানুষদের তথাকথিত ‘জিরো টলারেন্স’-এর গল্প শোনান, তারপর? তারপর নতুন কোনো ঘটনা নিয়ে আমরা সবাই মশগুল হয়ে পড়ি।


দুর্নীতি এখন বাংলাদেশে একটি চলমান ঘটনায় পরিণত হয়েছে। প্রথম প্রথম বড় কোনো দুর্নীতির ঘটনার কাহিনি শুনে মানুষের ভেতর বেশ প্রতিক্রিয়া হতো; এখন ধারাবাহিক দুর্নীতির ঘটনা শুনতে শুনতে তা গা সওয়া হয়ে গেছে। বড় কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থেকেও উঁচু মহলের সুদৃষ্টির কারণে দোষী ব্যক্তি যখন সবার সামনে পার পেয়ে যান, মানুষের ভেতর তখন হতাশার সৃষ্টি হয়। এ হতাশা কিছুদিন মানুষকে পীড়া দেয়, তারপর একসময় মানুষ হয়তো তা সহ্য করে নেয়। দুর্বৃত্তের দুর্বৃত্তায়ন নিয়ে বহু আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রচুর লেখালেখি হয়েছে। সরকারকে অনেকেই অনেকভাবে পরামর্শ দিয়েছেন। এমনকি দেশের সর্বোচ্চ আদালত বহুবার হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তাতে একবিন্দুও কাজ হয়েছে বলে মনে হয় না। দুর্নীতি কমেছে এমন কোনো প্রমাণ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। কিছুদিন পরপর নতুন নতুন উপায়ে দুর্নীতির ঘটনা ঘটেই চলেছে। আশীর্বাদপুষ্ট দুর্বৃত্তরা আজও রয়ে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রশ্ন জাগে-দুর্নীতিবাজ এসব ব্যক্তির টুঁটি চেপে ধরার কি কেউ নেই?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও