শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চ্যানেল আই শফী আহমেদ প্রকাশিত: ০১ মে ২০২৩, ০৮:৪৯

১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বিজয়ের এক দিবস হিসেবে দিনটি উদযাপিত হয়। আমাদের দেশেও কখনো আন্দোলন, কখনো উৎসবের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়। কিন্তু মে দিবস চলে যাওয়ার পরই শ্রমিকরা তাদের পূর্বতন অবস্থায় চলে যায়, বছর যায় বছর ঘুরে, দিবসটি উদযাপিত হয় কিন্তু শ্রমিকরা থেকে যায় তাদের প্রবঞ্চনাময় অতীতের ইতিহাসে।


মে দিবসের ইতিহাস শ্রমিকদের প্রতিবাদী সমাবেশে পুলিশের গুলিবর্ষণে ৬ জন শ্রমিকের ঘটনাস্থলে জীবনদানের ইতিহাস। দৈনিক ৮ ঘণ্টা শ্রমসময়ের দাবিতে নূন্যতম মজুরি বৃদ্ধি ও কাজের উন্নততর পরিবেশ তথা শ্রমিকের জীবনমান উন্নয়নসহ অন্যান্য দাবিতে আমেরিকার শিকাগোতে শ্রমিকরা অবস্থান ধর্মঘটের ডাক দেয়। মালিক পক্ষের ভাড়াটে লোকজন সেখানে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে উভয়পক্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে। অগাস্ট স্পাইস নামক এক শ্রমিক নেতাকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু শ্রমিকদের আন্দোলন থেমে থাকেনি। শ্রমিকরা আন্দোলনে বিজয়ী হয় এবং শহীদের রক্তের বিনিময়ে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকে পৃথিবীতে মে দিবস আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। সোভিয়েত ব্লকভুক্ত সমাজতান্ত্রিক দেশসমূহের সমাজতান্ত্রিক সরকারের পতনের আগ পর্যন্ত ব্যাপকভাবে পালিত হয়। ঠিক একইভাবে পুঁজিবাদী দেশসমূহেও পালিত হয় অধিকার আদায়ের আন্দোলনের শপথ।


আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময়ে শ্রমিক আন্দোলন দানা বেঁধে উঠে মূলত বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ৬ দফার প্রেক্ষিতে। দেশের মানুষের শোষণ মুক্তির আন্দোলন, শ্রমিকের অধিকার আদায়ের আন্দোলন ও স্বাধিকারের আন্দোলন মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। নারায়ণগঞ্জের আদমজীতে ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে এই আন্দোলন দানা বেঁধে উঠে। ৬ জুন শহীম মনু মিয়ার আত্মদানের মধ্য দিয়ে তৎকালীন শ্রমিক আন্দোলন বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের মূল ধারার সূচনা করে।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও