কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ছাড়া অপব্যবহার বন্ধ হবে কীভাবে

প্রথম আলো কামাল আহমেদ প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ১৫:০৩

গত প্রায় সাড়ে চার বছরের মামলার যেসব হিসাব বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও গবেষকেরা করেছেন, তাতে স্পষ্ট হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ হয়েছে মূলত সরকার কিংবা ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনা এবং মুক্তচিন্তা দমনে। এসব মামলার অধিকাংশই হয়েছে নেতা কিংবা রাষ্ট্রের মর্যাদাহানির অভিযোগ তুলে। তারপর আছে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ।


মামলায় সংক্ষুব্ধ পক্ষ সব সময় রাষ্ট্র বা সরকার না হলেও সরকারের মদদপুষ্ট কিংবা ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তিরা। আইনটি ভিন্নমত, সমালোচনা ও মুক্তচিন্তা দমনে সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার হয়ে উঠেছে যে কারণে তা হলো, আইনটির অনেক ধারাই অজামিনযোগ্য। ফলে কাউকে শিক্ষা দিতে হলে জেলের ভাত খাওয়ানোর এক মোক্ষম অস্ত্র হচ্ছে এটি, যেমনটি এককালে ছিল বিশেষ ক্ষমতা আইন।


ঈদের ছুটির আগে ট্যাবলয়েড পত্রিকা মানবজমিন পাশাপাশি দুটি সংবাদ প্রকাশ করেছিল। ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা’ অভিন্ন শিরোনামের নিচে পাশাপাশি ছাপা হওয়া সংবাদ দুটির নিজস্ব শিরোনাম ছিল যথাক্রমে ‘মেয়েটার কিডনিতে সমস্যা’ এবং ‘ঋণ করে ছেলের মামলার খরচ জোগাচ্ছি’। মামলায় অভিযুক্ত সদ্য কৈশোর পেরোনো দুই তরুণ-তরুণীর মায়েদের বক্তব্যের অংশবিশেষ ছিল শিরোনাম।


যে মেয়ের কথা তাঁর মা বলেছেন, তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা, যিনি কারাগারে আছেন আট মাস ধরে। দুই দিন পর খাদিজার মা ফাতেমা খাতুন প্রথম আলোকেও তাঁর দুঃখের কথা বর্ণনা করে বলেছেন, ‘যেদিন থেকে আমার মেয়ে কারাগারে, সেদিন থেকে আমাদের অশান্তি শুরু। এখন মেয়েকে কারাগারে রেখে আমরা কীভাবে ঈদ উদ্‌যাপন করব?’ খাদিজার বিরুদ্ধে অভিযোগ অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচার এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের। হাইকোর্ট গত ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে জামিন দিলেও রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের আবেদনের পর তা আপিল বিভাগে শুনানির জন্য এখন অপেক্ষমাণ।


ঋণ করে ছেলের মামলার খরচ জোগানোর কথা বলেছেন ময়মনসিংহের ভালুকার খোদেজা বেগম, যাঁর ছেলে মো. ইমন এখন কিশোর, বয়স ১৭ বছর। যখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়, তখন তার বয়স ছিল ১৫ বছর। নবম শ্রেণির ছাত্র থাকা অবস্থায় মুঠোফোন কোম্পানি অতিরিক্ত টাকা কেটে নেওয়ায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন স্থানীয় যুবলীগের একজন নেতা। টাকা দিলে মামলা করা হবে না—এমন প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় যুবলীগের ওই নেতা মামলা করেন। সপ্তাহ দুয়েক জেল খাটার পরই ছেলেটার জামিন হয়। কিন্তু এখন জমি বেচে মামলার খরচ জোগাতে হচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও