রমজান যেভাবে নাজাতের সুযোগ নিয়ে আসে
রমজানের সঙ্গে ইমানের যোগসূত্র প্রবল। ইমানের ভিত্তি হলো ওহি। ওহি তথা আসমানি কিতাবগুলো অবতীর্ণ হয়েছে রমজান মাসে। কোরআন মজিদও রমজান মাসে শবে কদরে অবতীর্ণ হয়েছে। ইমান যেমন মানুষকে কুফর ও শিরক থেকে মুক্ত করে, তেমনি রমজান মানুষকে পাপ-পঙ্কিলতা থেকে পবিত্র করে।
মুমিনের জন্য ইমান আনার পরই সবচেয়ে জরুরি আমল হলো নামাজ। রমজান মাস হলো নামাজের মাস। যেমন তারাবিহ বা প্রশান্তির বিশ্রামের নামাজ ও কিয়ামুল্লাইল বা রাত জাগরণের নামাজের পাশাপাশি রমজানে সাহ্রির বদৌলতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া সহজ হয়।
এশার নামাজ ও ফজরের নামাজ জামাতে পড়ার সুযোগ বাড়ে, যাতে সম্পূর্ণ রাত বন্দেগি করার সওয়াব পাওয়া যায়। ফজরের নামাজ আগেভাগে পড়ে ঘুমানোর কারণে সকালে ইশরাক নামাজ পড়ার সুবিধা হয়।
রমজান উপলক্ষে কাজের চাপ কম থাকার কারণে চাশত নামাজ ও জাওয়াল নামাজ আদায় করার সুযোগ হয়। বিকেলে অফিস বা কর্মক্ষেত্র থেকে আগে ফেরার কারণে আসর নামাজ জামাতে পড়া যায়। ইফতার উপলক্ষে মাগরিব নামাজের জামাতও পাওয়া যায়।
সাওম বা রোজা হলো ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম স্তম্ভ। সিয়াম বা রোজা হলো রমজানের সেরা অনুষঙ্গ। আগুন যেমন সোনাকে জ্বালিয়ে নিখাদ করে দেয়, রোজা তেমন ইমানদারের ষড়্রিপুর কামনা–বাসনাকে পুড়িয়ে ব্যক্তিকে খাঁটি বান্দায় পরিণত করে। তাই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন রোজার জন্য এ মাসকেই নির্ধারণ করেছেন।