রোজার কাজা, কাফফারা ও ফিদইয়ার বিধান

সমকাল মুফতি আতিকুর রহমান প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৩৩

রোজা শারীরিক ইবাদত। শারীরিক ইবাদত সম্পাদন করতে প্রয়োজন হয় বল ও শক্তি। যা শরীরকে সতেজ রাখে। কিন্তু রোজায় পানাহার পরিহার করতে হয়। তাই রোজায় বল ও শক্তি ম্রিয়মাণ। কেননা ক্ষুধা এ ইবাদতের মুখ্য উপকরণ। ক্ষুধার তীব্রতায় সম্পাদিত হয় এ ইবাদত। আর ক্ষুধার তীব্রতা কারও কারও জন্য সহ্যাতীত। বিশেষ করে যারা ব্যাধিগ্রস্ত, শক্তিহীন বয়োবৃদ্ধ কিংবা নিজ বাসগৃহ থেকে বহুদূরে অবস্থিত ক্লান্ত মুসাফির।



মহান আল্লাহ সহজতা পছন্দ করেন। তিনি বান্দার প্রতি কখনও কঠোর হন না। মহান আল্লাহ আবশ্যিকভাবে রোজাকে বিধিত করেছেন। আবার অপারগদের জন্য আবশ্যিক এই বিধিতে এনেছেন সহজতা। তাই যারা বিভিন্ন কারণে রোজা পালনে অক্ষম, মহান আল্লাহ তাদের জন্য কাজা, কাফফারা ও ফিদইয়ার বদলা ব্যবস্থা নির্ধারণ করেছে।


এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ থাকবে অথবা সফরে থাকবে (রোজার সময়), তার পক্ষে অন্য সময়ে সে রোজা আদায় করে নিতে হবে। আর এটি যাদের জন্য কষ্টদায়ক হয়, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকিনকে খাবার দান করবে। ...কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে রোজা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে, সে অন্য দিনে রোজা পালন করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান। তিনি জটিলতা কামনা করেন না।’ (সূরা বাকারা: ১৮৪-১৮৫)


ইসলামি শরিয়ত মুসাফির অবস্থায়, রোগ বৃদ্ধির বেশি আশঙ্কা থাকলে, গর্ভের সন্তানের ক্ষতির শঙ্কা থাকলে, ক্ষুধা-তৃষ্ণায় এমন বেশি কাতর হলে যাতে মৃত্যুর আশঙ্কা হয় এবং শক্তিহীন বৃদ্ধ হলে রোজা না রাখার অনুমতি দিয়েছে। আর মেয়েদের ঋতুস্রাবের দিনগুলোতে রোজা নেই। এসব ক্ষেত্রে রোজা ভঙ্গ করার কারণে পরে সমান সংখ্যক রোজা কাজা করতে হবে। এ ছাড়াও যে ব্যক্তি রোজাই রাখেনি তার জন্যও শুধু কাজা আদায় করলেই হবে, কাফফারা দিতে হবে না। (ফতোয়া দারুল উলুম দেওবন্দ- ১৭১৪৩৩)


বছরের যেকোনো দিন রমজানের রোজার কাজা আদায় করা যায়। তবে ঈদের দিনের মতো নিষিদ্ধ দিন, পরবর্তী কোনো রমজান ও মান্নতের রোজার জন্য নির্ধারিত দিনে তা আদায় করা যাবে না। পরবর্তী রমজান মাস আসার আগে যত দ্রুত সম্ভব রমজানের রোজার কাজা আদায় করা উত্তম। বিনা কারণে কাজা আদায়ে বিলম্ব করা মাকরুহ। (আল ফিকহুল ইসলামি ওয়া আদিল্লাতুহু: ৩/১০৭-১১৩)


শরিয়তসম্মত কোনো কারণ ছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার বা সহবাসের মাধ্যমে রমজানের রোজা ভঙ্গ করলে তার কাজা ও কাফফারা আদায় করতে হবে। পানাহার ও সহবাস ছাড়া অন্য পদ্ধতিতে ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভঙ্গ করলে কাফফারা দিতে হবে না, তবে কাজা করতে হবে। (মাবসুতে সারাখসি: ৩/৭২)


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও