প্রান্তিক আয়ের মানুষ : জীবনযাত্রা ও মূল্যস্ফীতির চাপ

ঢাকা পোষ্ট এস এম নাজের হোসাইন প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০২৩, ১২:১৯

এক সময় রমজান আসলে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ত। এখন সপ্তাহে বাড়ছে। দাম কেন বাড়ছে তার কোনো প্রশ্নের উত্তর নেই। কোথাও কোনো জবাবদিহিতা আছে বলে মনে হয় না।


প্রথমে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল, এরপর দফায় দফায় বাড়ল বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির দাম। এলপি গ্যাসের দামে লাগাম নেই। সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ী কোনো পক্ষই দাম বাড়ানোর নিয়ম মানতে রাজি নয়।


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্রেতাদের অনেকেই পণ্য কেনার ধরন পাল্টেছেন। আগে যারা সবচেয়ে ভালো পণ্য খুঁজতেন, তারা এখন কম দামের সাধারণ মানের পণ্য কিনছেন।


কম মূল্যে পণ্য নিতে অনেকে আবার বোতলজাত ও প্যাকেট রেখে খোলা পণ্যে ঝুঁকছেন। আসলে সবার হাতেই টান পড়েছে। রমজান মাসে ভালো ব্যবসা হওয়ার কথা থাকলেও বিক্রি কিন্তু তেমন বাড়েনি।


দাম বেড়ে যাওয়ায় আনুপাতিক হারে লাভের পরিমাণও কমেছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। পাশাপাশি দিনমজুর, রিকশাচালক, পরিবহন শ্রমিক থেকে শুরু করে প্রান্তিক, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের অবস্থা একেবারেই ভালো নেই। সংসারের খরচের চাপে চিড়ে-চ্যাপ্টা হয়ে যাচ্ছেন অধিকাংশ মানুষ।


কেউ কেউ খাবারের তালিকায় লাগাম টানার চেষ্টা করছেন, কেউ বাড়তি আয়ের চেষ্টা করছেন। অনেকে নিরুপায় হয়ে প্রথমে নিম্ন আয়ের এলাকায় বসতী গড়ছেন, তাতেও না পারলে শহর ছাড়ছেন, অনেকে খরচের চাপ সামলাতে গিয়ে জড়াচ্ছেন নানা ধরনের ঋণের জালে।


সম্প্রতি রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষের সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে জানান, ফেব্রুয়ারিতে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মার্চে তা বেড়ে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ হয়েছে। অর্থাৎ একজন ভোক্তা ২০২২ সালের মার্চে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পেত, ২০২৩ সালের মার্চে একই পণ্য কিনতে তার খরচ হয়েছে ১০৯ টাকা ৩৩ পয়সা।


চলতি বছরের শুরু থেকে পণ্যের দাম বাড়তির দিকে। জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৫৭ ভাগ। এই কারণে ছয় মাসের ব্যবধানে দেশের বাজারে চাল, ডাল, তেল, আটা, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, শাকসবজি, ওষুধ ও শিশু খাদ্যসহ জীবনযাপনের সঙ্গে জড়িত প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও