রোজার মাসে যানজট: ‘হাইব্রিড অফিস’ ব্যবস্থা কেন নয়

প্রথম আলো ঢাকা মেট্রোপলিটন কাজী আলিম-উজ-জামান প্রকাশিত: ০৬ এপ্রিল ২০২৩, ১৮:৩৫

সরাসরি যদি কথাটা বলতে হয়, তবে বলতে হবে, মানুষের কষ্ট হচ্ছে। এই রোজার মাসে, রাজধানী ঢাকার বাসিন্দারা, নিত্য যাঁদের ঘরের বাইরে বের হতে হয় রুটিরুজির প্রয়োজনে, তাঁরা মোটেও সুখে নেই। অবর্ণনীয় যানজটে পড়ে তাঁদের কষ্টের সীমা নেই। বিশেষ করে দুপুরের পর থেকে, তিনটা বাজলে যেন গাড়ি আর নড়ে না। রমজান মাসে রোজাদারদের ইচ্ছা থাকে ইফতারের আগে ঘরে ফেরা এবং পরিবারের সঙ্গে ইফতার করা। কিন্তু এ শহরে যানজটের যে অবস্থা, তাতে অনেকেরই ইফতার সারতে হয় পথে। মনে কষ্ট আর হতাশা নিয়ে তারা বাসায় ফেরেন ইফতারের পর!


এখন নগরবাসী যানজটের জন্য আর কাউকে বা কোনো সংস্থাকে দায়ী করেন না। সে পরিবেশও এখন নেই। এখন তাঁরা দায়ী করেন কেবল নিজেদের ভাগ্যকে!


দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে রাজধানী ঢাকার লোকসংখ্যা কত? সর্বশেষ শুমারিতে এসেছে এক কোটি দুই লাখ। আর ঢাকা মহানগরে বাস করে দুই কোটির ওপরে মানুষ।
পদ্মা সেতু চালু হয়েছে। যোগাযোগ সহজ হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে। এখন ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ঢাকার আরও কাছে এসেছে। বলা যায়, এই তিন জেলা এখন ঢাকার ‘সই’। পদ্মা সেতু চালু হলে এসব জেলার যেসব কর্মজীবী মানুষ রাজধানীতে বাস করেন, তাঁরা নিজ নিজ জেলায় ফিরে যাবেন, এমন আলাপ-আলোচনা আমরা শুনেছিলাম। বাস্তবে কতজন ফিরে গেছেন, এ বিষয়ে একটা গবেষণা হতে পারে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের এক বছর হতে যাচ্ছে আগামী ২৫ জুন। এর আগে গবেষণাটা হলে মন্দ হয় না। লোক ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে আমার মনে হয়, সংখ্যাটা অতি নগণ্য হবে। অনেকেই বলছেন, পদ্মা সেতু হওয়ার পর যোগাযোগ সহজ হওয়ায় এসব জেলার লোকদের রাজধানী অভিমুখে গমন উল্টো আরও বেড়েছে!


এখন সামনে চালু হবে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্প। এ বছরের মে থেকে জুনের মধ্যে বিআরটি প্রকল্পের ২০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার সড়কটি চালু হওয়ার কথা। এটি চালু হলে গাজীপুর, ময়মনসিংহের সঙ্গে রাজধানীর দূরত্ব আরও কমবে, চলাচল সহজ হবে। তবে চালু হলেই বোঝা যাবে পরিস্থিতি।


মূল বিষয় হলো, কর্মসংস্থানের সুযোগ। ভালো-মন্দ, ছোট-বড়-মাঝারি, নগদ-বাকি, সব ধরনের কর্মসংস্থানের কেন্দ্রবিন্দু এই ছোট্ট ঢাকা শহর। তা না হলে এই শহরে এমন কোনো মধু নেই যে দলে দলে পতঙ্গের মতো মানুষ উড়ে আসবে।


কিছুতেই যখন যানজট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে না, তখন খুব দরকার ছিল ওয়ার্ক ফ্রম হোম (ডব্লিউএফএইচ) বা বাসা থেকে অফিস ব্যবস্থা চালু করা। বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের একটা অংশ যদি বাসা থেকে অফিস করার সুযোগ পেত, মন্দ হতো না। বিশেষ করে রোজার মাসে এটা খুব কাজে লাগত। করোনাকালে ওয়ার্ক ফ্রম হোম, যার অন্য নাম হাইব্রিড অফিস ব্যবস্থা, চালু না করে উপায় ছিল না। সে ব্যবস্থাকে কোনোভাবেই অকার্যকর বলা যাবে না। হাইব্রিড বা রিমোট অফিস ব্যবস্থায় উৎপাদন কম হয়েছে, সে কথাও কেউ বলেনি বা বলছে না। তাহলে বর্তমান নতুন বাস্তবতায় হাইব্রিড ব্যবস্থা চালু করতে বাধা কোথায়?


এমন ব্যবস্থায় কর্মীদের একটা অংশ অফিসে থাকে। আরেকটি অংশ বাসায় বসে কাজ করে। যারা বাসায় অবস্থান করে কাজ করেন, তাঁরা অনলাইনের মাধ্যমে অফিসের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। এসব কর্মী আবার প্রয়োজনে দুই বা তিন দিন পর অফিসে গিয়ে কাজের সমন্বয় করে আসেন। এ ব্যবস্থায় টিমের অদলবদলও হয়। যে টিম অফিসে কাজ করছে, একটা সময় পরে তারা হোম অফিসে যেতে পারে। একইভাবে যারা বাসায় কাজ করে, তারা অফিসে গিয়ে বসতে পারে।
পাশ্চাত্যের কিছু দেশে এমন হাইব্রিড অফিস ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, যেখানে কর্মীরা দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অফিসে যান, বাকি সময়ে বাসা থেকেই কাজ করেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও