নিপুণের চিঠির জবাব দিলেন জায়েদ খান
ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক জায়েদ খান। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদে শিল্পীদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জিতেও শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসতে পারেননি জায়েদ। এ নিয়ে আদালত পর্যন্ত যেতে হয়েছে তাকে। সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে মামলা এখনও চলমান। এরই মধ্যে এবার সমিতির সদস্যপদ হারাতে বসেছেন দুবারের সাধারণ সম্পাদক থাকা এই অভিনয় শিল্পী। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি সূত্রে এমন খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে তার বিরুদ্ধে কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ যে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে, সেটি শিল্পী সমিতির সংবিধানবিরোধী বলে দাবি করেন জায়েদ খান। তিনি অভিনেত্রী নিপুণ বরাবর একটি চিঠিও দিয়েছেন ১ এপ্রিল। সেখানে তার বিরুদ্ধে অন্যায় আচরণ করা হলে তিনি আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
চিঠিতে জায়েদ খান, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, আর্টিস্ট রুম, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন, তেজগাঁও, ঢাকা-১২১৫’- এই ঠিকানায় নিপুণ বরাবর লিখেছেন, ‘২২ ফেব্রুয়ারি আপনার ইস্যুকৃত বেআইনি নোটিশের জবাব। আমি পেশাগত কাজে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত দেশের বাইরে অবস্থান করি। এ সময় আপনি নিজেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ করে ২২ ফেব্রুয়ারি অবৈধ নোটিশটি প্রেরণ করেন আমাকে। আমি দেশের বাইরে থাকায় যথাসময়ে নোটিশটি আমার ওপর জারি হয় নাই। ৩১ মার্চ সেটি আমি পেয়েছি। নোটিশের জবাব প্রদান করা হলো।’
জায়েদ সেখানে আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সর্বশেষ নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদটির বৈধতা নিয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আপনি নিজেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক দাবি করে ওই নোটিশ ইস্যু করা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মহামান্য আপিল বিভাগের অবমাননার শামিল। মাননীয় আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলাটি ‘frustrate’ করার অসৎ উদ্দেশ্যে ২২ ফেব্রুয়ারি নোটিশটি ইস্যু করা হয়েছে। আমার সদস্যপদ নিয়ে যেকোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার শামিল। ওই অবৈধ নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত যেকোনো ধরনের অবৈধ কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাই দেশের সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন।’
আপনি ২২ ফেব্রুয়ারি কেন আমার বিরুদ্ধে সমিতির গঠনতন্ত্রের ৭(ক) ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এই মর্মে ৭ (সাত) দিনের সময় দিয়ে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ করেছেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির তিনবার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমি সংগঠনের উদ্দেশ্যাবলির পরিপন্থি, সংগঠনের স্বার্থের বিরুদ্ধে বা সংগঠনের অবমাননাকর কোনো কার্যের সঙ্গে কখনো সম্পৃক্ত ছিলাম না বিধায় তথাকথিত কারণ দর্শানোর নোটিশটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বেআইনি। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে একজন সহশিল্পী হিসেবে আপনাকে বিতর্কিত, অবৈধ, মানহানিকর এবং আদালত অবমাননাকর কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি। অন্যথায় আপনার এবং অন্যান্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।’