কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

জুমাবারের সন্ধ্যাগুলো কাটুক দোয়া ও ইবাদতে

সমকাল মুফতি আতিকুর রহমান প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২৩, ২১:৩১

অফুরান ফজিলতের মাস রমজান। রমজানে জুমার দিনের ফজিলত আরো বেশি। আল্লাহতায়ালা এই দিনকে অন্যান্য দিনের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। আজ চলতি রমজান মাসের দ্বিতীয় জুমাবার। 


হাদিসে জুমার দিনকে মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সা. বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ এই দিনকে মুসলমানদের ঈদের দিনরূপে নির্ধারণ করেছেন। অতএব যে ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করতে আসবে সে যেন গোসল করে এবং সুগন্ধি থাকলে তা শরীরে লাগায়। আর মিসওয়াক করাও তোমাদের কর্তব্য। ইবনে মাজাহ ১০৯৮


জুমার নামাজকে কেন্দ্র করে একত্রিত হয় সকল মুসলমান। এই দিনে সবাই সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করে সুগন্ধি মাখিয়ে মসজিদে আসে। হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে এক কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে। একে অপরের খোঁজ খবর নেয় এবং মত বিনিময় করে। এতে পরস্পরে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি পায়। অনেক আত্মীয়স্বজন ও প্রিয় মানুষদের সঙ্গে দেখা হয়। ভেতরে এক ধরনের ভালো লাগা কাজ করে। সকলের মুখে লেগে থাকে মুচকি হাসি। এভাবে জুমার দিনে মুসলমানদের আনন্দের অনেক উপলক্ষ তৈরি হয়।


জুমার দিনে মহান আল্লাহ বান্দার অসংখ্য গুনাহ ক্ষমা করেন। রাসুল সা. বলেছেন, এক জুমা পরবর্তী জুমা পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহসমূহের কাফফারাস্বরূপ, যদি না কবিরা গুনাহ করা হয়। ইবনে মাজাহ ১০৮৬


একদিকে আনন্দ এবং অপর দিকে আল্লাহর ব্যাপক রহমত ও ক্ষমা প্রাপ্তি- এই দুইয়ে মিলেই শুক্রবার বান্দার জন্য সাপ্তাহিক ঈদ। এই জুমা রমজান মাসে হওয়ায় তা আরো বেশি ফজিলতময়।


জুমার দিনের বিশেষ আমল হলো, এই দিন বেশি বেশি দরুদ পাঠ এবং সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করা। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা জুমার দিনে আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কেননা তোমাদের পাঠকৃত দরুদ আমার সামনে পেশ করা হয়। আবু দাউদ ১০৪৭


রাসুল (সা.) আরো বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, এটি তার জন্য দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়কে নূর দ্বারা আলোকিত করে দিবে। বায়হাকি ৩/২৪৯


আল্লাহতায়ালা জুমার নামাজে যে ফজিলত ও রহমত দান করেছেন তা পুরোপুরিভাবে অর্জন করার জন্য আবশ্যক হলো জুমার আজানের সঙ্গে সঙ্গে খুব দ্রুত মসজিদে চলে আসা। এই বিষয়ে আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, হে ইমানদারগণ! জুমার দিন যখন নামাজের জন্য আহ্বান করা হয় তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ করো। এটাই তোমাদের জন্য শ্রেয়, যদি তোমরা উপলদ্ধি করো। সুরা জুমুআ ০৯


এই বিষয়ে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেন, জুমার দিন মসজিদের দরজায় ফেরেশতাগণ অবস্থান করেন এবং ক্রমানুসারে আগে আগমণকারীদের নাম লিখতে থাকেন। যে সবার আগে আসে, সে ওই ব্যক্তির ন্যায়, যে ব্যক্তি একটি মোটাতাজা উট কোরবানি করে। অতঃপর যে ব্যক্তি আসে সে ওই ব্যক্তির ন্যায় যে একটি গাভি কোরবানি করে। এরপর আগমনকারী ব্যক্তি মুরগি দানকারীর ন্যায়। তারপর আগমনকারী ব্যক্তি একটি ডিম দানকারীর ন্যায়। অতঃপর ইমাম যখন খোতবা দেয়ার জন্য বের হন তখন ফেরেশতাগণ তাদের খাতা বন্ধ করে দিয়ে মনোযোগ সহকারে খোতবা শ্রবণ করতে থাকেন। বুখারি ৯২৯


রমজান মাসে ইফতারের আগের সময়ে দোয়া কবুল হয়। আবার জুমার দিন আসরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়টুকু স্বতন্ত্রভাবে দোয়া কবুল হওয়ার বিশেষ মুহূর্ত হিসেবে গণ্য। সুতরাং যখন দোয়া কবুল হওয়ার ভিন্ন দুটি বিশেষ মুহূর্ত একত্র হবে, আশা করা যায়, তখন দোয়া আরো দ্রুত ও ব্যাপকহারে কবুল হবে।


হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (স.) বলেছেন, জুমার দিনে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যদি কোনো মুসলমান ওই সময়ে আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তাহলে আল্লাহ তাকে তা দান করেন। ওই মুহূর্তটি তোমরা আসরের শেষ সময়ে অনুসন্ধান করো। আবু দাউদ ১০৪৮


রাসুল (সা.) আরো বলেন, ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া প্রত্যাখ্যান করা হয় না। সুনানে ইবনে মাজাহ ১৭৫৩


সাধারণত এক আরবি মাসে শুক্রবার পাওয়া যায় চারটি, কখনো পাঁচটি। এবারের রমজান মাসে পাঁচটি শুক্রবার। আজকের শুক্রবারসহ সামনের শুক্রবারগুলোতে আসরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়টুকুকে প্রতিটি মুসলমানের বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ। এ সময়ে আল্লাহর কাছে কল্যাণের দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিৎ। কেননা এই সময়ে দোয়া কবুলের নিশ্চয়তা রয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও