কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে ব্যাংক থেকে কম ঋণ নেওয়ার পরামর্শ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

ডেইলি স্টার প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২৩, ১৮:১৩

মূল্যস্ফীতির কারণে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে সরকারের। এই প্রেক্ষাপটে নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে আরও বেশি করে ঋণ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।


চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি মেয়াদে আগের বছরের তুলনায় সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ ৭২ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৭১৭ কোটি টাকায়। যার বড় একটি অংশ এসেছে ব্যাংকিং খাত থেকে।


অন্যদিকে, সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমে যাওয়ায় একই সময়ে ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে সরকারের ঋণ বেড়েছে সামান্য। 


সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণ বিষয়ক মাসিক প্রতিবেদনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, 'অর্থনীতিতে চলমান মুদ্রাস্ফীতির চাপ বিবেচনায় রেখে সরকারকে আগামী দিনে ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে আরও বেশি ঋণ নেওয়ার ওপর জোর দিতে হবে।'


২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য সরকার ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ ঋণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে আসবে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা।


দেশের ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক খাত থেকে ৪০ হাজার ১ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি। 


চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মাসে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে সরকারের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০২১-২২ সালের একই সময়ে এই ঋণের পরিমাণ ছিল ১০ হাজার ২৮০ কোটি টাকা।


জুলাই-জানুয়ারি মাসে দেশের ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক খাত থেকে মোট ঋণ নেওয়া হয়েছিল ৩ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার ৯.৩ শতাংশ। ২০২২ অর্থবছরে একই সময়ে অর্থাৎ ছিল ১৪ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা। 


জুলাই-জানুয়ারি মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ ছিল ৪৮ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা। তবে সরকার একই সময়ের মধ্যে আসলের ৫১ হাজার ৮২৬ কোটি টাকা ফেরত দেয়। এর ফলে নিট ঋণের পরিমাণ বাড়েনি বরং কমেছে ৩ হাজার ৬৯ কোটি টাকা।


বিশ্ববাজারে পণ্যের বর্ধিত মূল্য এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণে প্রায় ১ বছর ধরে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে এই সুপারিশ করা হয়েছে।


ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৮. ৭৮ শতাংশে পৌঁছায়, যা ৫ মাসের পতনের ধারাবাহিকতা ভেঙে দেয়। আগস্টে এটি ১০ ​​বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯.৫২ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও