হার্ট অ্যাটাক থেকে সতর্ক হওয়ার পথ দেখাল গবেষণা

সমকাল প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২৩, ১৬:৩১

মধ্যবয়সে পৌঁছতে না পৌঁছতেই হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক। কান পাতলেই এমন কথা শোনা যাচ্ছে চারদিকে। শুধু কি তাই? চিকিৎসা শুরুর আগেই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা মনে ভয় বাড়াচ্ছে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তার কোনো লক্ষণ আগে থেকে প্রকাশ পাচ্ছে না। 


সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, বয়স ৪০ পেরোনো বহু মানুষের শরীরেই লুকিয়ে থাকতে পারে হার্টের অসুখের নানা লক্ষণ। হঠাৎ কারও হার্ট অ্যাটাক হলো মানেই এমনটা নয় যে, রোগটি তৎক্ষণাৎ উদয় হলো। আক্রান্ত হওয়ার বহু দিন আগে থেকেই রোগের বীজ শরীরে সুপ্ত অবস্থায় থাকে। তা খালি চেখে ধরা পড়ে না। 


ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে ‘অ্যানাল্‌স অফ ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, ৯ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিয়ে করা এই গবেষণায় দেখা গেছে, ৪০ পেরোনো বেশির ভাগ মানুষের হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার মতো উপসর্গ রয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই পরবর্তীতে ‘ইস্কেমিক হার্ট ডিজ়িজ়’-এ আক্রান্ত হতে পারেন বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।


‘সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সাধারণত ধমনীর গায়ে ছোট ছোট ‘প্লাক’ বা মেদের অংশ জমতে শুরু করলে হৃদ্‌যন্ত্রে রক্ত সঞ্চালনের গতি খানিকটা রুদ্ধ হয়। দীর্ঘদিন ধরে তা জমতে জমতেই ধমনীতে ‘ব্লকেজ’ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে। আর সেখান থেকেই হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। 


গবেষকদের প্রধান ক্লজ় কোফোয়েড বলেন, ‘এ ধরনের গবেষণা এ যাবৎ কালে প্রথম। ফুসফুসের ক্যানসারের ক্ষেত্রে সাফল্য পাওয়ার পর আমরা হার্ট অ্যাটাকের বিষয়টি নিয়েও আশাবাদী।’


গবেষকদের মতে, এ ধরনের রোগ যত আগে ধরা পড়ে, ততই ভালো। কারণ, বয়স বাড়লে এমনিতেই অন্য নানা রকম রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। তখন জটিলতা আরও বেড়ে যায়। হৃদ্‌রোগ এবং ক্যানসারের ক্ষেত্রে সময় থাকতে রোগ ধরা পড়া এবং দ্রুত চিকিৎসা শুরু করাই একমাত্র বিকল্প।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও