রাজউক কর্মচারীদের কক্ষে মিলল পূর্বাচলের দেড় শতাধিক প্লটের নথি
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কক্ষ থেকে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের দেড় শতাধিক প্লটের বিভিন্ন নথি উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজউকের সদস্য (এস্টেট) মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে এক অভিযানে নথিগুলো উদ্ধার করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী নথিগুলো রাজউকের রেকর্ড রুমে রাখার কথা ছিল। যদিও অভিযানের পরে তাৎক্ষণিক কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
রাজউকের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লটের নথি সময়মতো সরবরাহ না করে নানাভাবে প্লট মালিকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিত বলে অভিযোগ আছে। এ ছাড়া মূল নথি আটকে রেখে জাল নথি তৈরির অভিযোগও আছে রাজউক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।
প্লট মালিকদের অভিযোগ, রাজউকে প্লটের দলিল লিজসহ নানা কাজে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হয়। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘুষের বিনিময়ে প্লটের নথি খুঁজে দেন। তাই প্লটের নথি রেকর্ড রুমে রেখে প্রয়োজনমতো খুঁজে পাওয়া গেলে হয়রানি কমে আসবে বলে মনে করেন তাঁরা।
এর আগে ২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর রাজউকের তৎকালীন চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদের নেতৃত্বে সংস্থার অ্যানেক্স ভবনের একটি কক্ষে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ৭০টি প্লটের নথি। পরে এ ঘটনায় রাজউকের ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হয়েছিল। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল, নিয়ম অনুযায়ী নথির গতিবিধি খাতায় নিবন্ধন না করে এবং কাজ শেষে রেকর্ড রুমে না পাঠিয়ে কৌশলে সরিয়ে রাখা হয়েছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন কর্মকর্তার সিল তৈরি করে জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া নথি তৈরি ও লিজ দলিল সম্পাদন করে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা করা হয়।
বৃহস্পতিবারের অভিযান সম্পর্কে মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, অ্যানেক্স ভবনে অভিযানকালে রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে ১৫০টির মতো প্লটের নথি উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে পূর্বাচলের সব প্লটের নথি রেকর্ড রুমে রেখে আসতে বলা হয়েছে। তিন কার্যদিবস পর আবার এ-সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করা হবে।