ড. ইউনূসের বিশ্বময় প্রচারে আমাদের ব্যর্থতাই তার পুঁজি
আবারও পান্নালাল ভট্টাচার্যের বিখ্যাত ‘সাধ না মিটিলো’ গানটির একটি লাইন মনে পড়ে গেল, যা হলো- ‘বড় আশা করে এসেছি গো কাছে টেনে নাও’। ড. ইউনূস নিশ্চয়ই এ লাইনটি জবতে জবতে তার শেষ কূটচালটি মেরেছিলেন, ৪০ জন বিশ্ব পরিচিত লোককে হাতে-পায়ে ধরে দস্তখত জুগিয়ে কম-বেশি ১ কোটি টাকা ব্যয় করে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্টে খোলা চিঠি আকারে একটি বিজ্ঞাপন ছেপেছিলেন।
কিন্তু এ যাত্রা মা তাকে কাছে টেনে না নিয়ে বরং ত্যাজ্য করেছেন। সেই বিজ্ঞাপনের মূল কথা ছিল- বাংলাদেশ সরকার তাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করছে।
কী উদ্দেশ্যে এ সময়ে ইউনূস সাহেব ৪০ জন লোকের দস্তখত জোগাড় করে বিজ্ঞাপনটি ছাপালেন সে প্রশ্নটি জনমনে বহু গুঞ্জন সৃষ্টি করেছে। ইউনূস সাহেবের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের নির্দেশে দুর্নীতি দমন কমিশন বর্তমানে মানি লন্ডারিংসহ অন্যান্য দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে, যেগুলো প্রমাণিত হলে ডক্টর সাহেবকে বেশ কয়েক বছরের জন্য জেলে যেতে হতে পারে। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, এ ধরনের বিজ্ঞাপন ছাপালে হয়তো বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন তাদের হাত-পা গুটিয়ে ফেলতে পারে। তাহলে ধরে নিতে হয় বাংলাদেশে আইনের শাসনকে শ্বাসরুদ্ধ করার জন্যই ইউনূস সাহেব এমনটি করেছেন। আরও যে কারণটি আঁচ করা যাচ্ছে তা হলো- বাংলাদেশে নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে আর তাই ঠিক ২০০৬ সালে তিনি যেমন নারোদের ভূমিকায় নেমেছিলেন জনপ্রিয় ব্যক্তিদের বিজয় রোধ করতে, আগামী নির্বাচনেও ঠিক একই ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- ব্যর্থতার কারণ
- ব্যর্থতা
- গুঞ্জন