বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও স্থানীয়রা কেন সংঘর্ষে জড়ান?

প্রথম আলো মনোজ দে প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২৩, ১৪:৩৫

আমরা এমন এক সময়ে বাস করছি, যেখানে সহানুভূতি, সমমর্মিতা, দয়া, মমত্বের মতো ইতিবাচক আবেগের চর্চা থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছি। এর পরিবর্তে অসহিষ্ণুতা আর সময়ে সময়ে নিষ্ঠুরতা আমাদের প্রবলভাবে আচ্ছন্ন করে রাখছে।


গণমনস্তত্ত্বের এই যে পরিবর্তন, কী তার কারণ, তা নিয়ে সমাজতাত্ত্বিক, সমাজ-মনোবিদেরা নানা দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করতে পারেন। কিন্তু রাজনীতি আর শাসনপদ্ধতির সঙ্গে এর সরাসরি সম্পর্ককে কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না। ক্ষমতা প্রদর্শন আর অন্ধের মতো গোষ্ঠীস্বার্থে ঝাঁপিয়ে পড়ার একটা প্রথা, অভ্যাস সমাজের সব স্তরেই জেঁকে বসেছে। এর সর্বশেষ দৃষ্টান্ত আমরা দেখলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে।


একেবারে তুচ্ছ একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেভাবে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধুন্ধুমার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল, সেটাকে অন্ধ ক্ষমতাচর্চা ছাড়া আর কী বলতে পারি? এ সংঘর্ষে শেষ পর্যন্ত কী অর্জন হলো?


২০০ শিক্ষার্থী আহত হলেন, কয়েকজনকে আইসিইউতে ভর্তি হতে হলো, চোখের উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনজন শিক্ষার্থীকে ঢাকায় আসতে হলো। স্থানীয় মানুষের অনেকে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন, তাঁদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হলো, মোটরসাইকেলসহ যানবাহন ভাঙচুর হলো। বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক দিন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকল।


সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, বগুড়া থেকে এক শিক্ষার্থী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরছিলেন। বাসে সিট নিয়ে তাঁর সুপারভাইজার ও চালকের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। এ ধরনের কথা-কাটাকাটি কিংবা বচসা গণপরিবহনের ক্ষেত্রে নিত্যদিনের ঘটনা। তাৎক্ষণিকভাবেই সেটা মিটিয়ে ফেলা যেত। কিন্তু কোনো পক্ষই ছাড় দিতে রাজি হয়নি। ওই যে সবার মাঝেই দেখিয়ে দেওয়া কিংবা শিক্ষা দেওয়ার কিংবা ক্ষমতা প্রদর্শনের মানসিকতা।


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে বাসটি একসময় এসে থামে। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন শিক্ষার্থী বাসটিতে উঠে চালককে টেনেহিঁচড়ে নামাচ্ছেন। পরে কয়েকজন বাসে উঠে সহকারীকে খুঁজছেন। ভয়ার্ত এক নারী যাত্রীর কান্নার শব্দও শোনা যাচ্ছে।


এরপরের ঘটনা শুধু শিক্ষার্থী আর বাসের চালক ও সহকারীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। বিনোদপুর বাজারের স্থানীয় মানুষের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। যথারীতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের থামাতে শুরুতেই কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ছাত্রলীগ যুক্ত হওয়ায় পরিস্থিতি ব্যাপকতায় রূপ নেয়। আর পুলিশ বরাবরের মতো ‘রোগী মরার পর’ উপস্থিত হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও