কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আওয়ামী লীগের অধীনে বিএনপি কেন নির্বাচনে যাবে বা যাবে না

প্রথম আলো এ কে এম জাকারিয়া প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২৩, ০৭:০৬

ধরুন, আপনি এমন একটি ঘরে আছেন, যা অন্ধকার এবং সেখানে একটি সাপ আছে। পরিস্থিতিটা কেমন? যেহেতু আপনি দেখতে পারছেন না, তাই বোঝার উপায় নেই সাপটি কোথায়। তাই বলা হয়, অন্ধকার ঘরে একটি সাপ মানে সারা ঘরেই সাপ। অনুমান করা ছাড়া আপনার সামনে কোনো পথ নেই।


জাতীয় নির্বাচনের সময় এগিয়ে আসছে। এক বছরও হাতে নেই। বিভিন্ন আলোচনায় শোনা যাচ্ছে, আগামী নির্বাচন ২০১৪ বা ১৮ সালের মতো হবে না। তাহলে কেমন হবে আগামী নির্বাচন? কেউই তা জানে বলে মনে হয় না। এর চেয়ে মূল্যবান প্রশ্ন, এই নির্বাচনে বিএনপি যাবে তো? রাজনীতি নিয়ে যাঁরা পড়ে থাকেন বা ‘বিশ্লেষণ’ করেন, তাঁদের কাছ থেকেও এর কোনো ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ জবাব এখনো আমরা শুনিনি। বোঝা যায় নির্বাচন নিয়ে আমরা, মানে জনগণ পুরো অন্ধকারে আছে। এ নিয়ে তাই এখন শুধু নানা অনুমানই করা সম্ভব, এর বাইরে কিছু নয়।


আসুন, আমরা আগামী নির্বাচন নিয়ে নিজেরাই নিজেদের কিছু প্রশ্ন করি এবং এর কিছু অনুমাননির্ভর জবাব বের করার চেষ্টা করি। আওয়ামী লীগ বলছে, তাদের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। কারণ, সংবিধানে এর বাইরে কিছু নেই। রাজনৈতিকভাবেও আওয়ামী লীগ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করার দাবির প্রতি কোনো ছাড় দিতে রাজি নয়। আবার আওয়ামী লীগই মনে করে, এই নির্বাচনে বিএনপিকে লাগবে।


বিএনপি না গেলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। এই সূত্রে আমাদের কিছু প্রশ্ন; আওয়ামী লীগ কি শেষ পর্যন্ত তাদের অধীনে নির্বাচন করার সিদ্ধান্তেই অটল থাকবে? বা থাকতে পারবে? সে ক্ষেত্রে বিএনপিকে তারা কীভাবে নির্বাচনে নেবে?
এসব প্রশ্ন তোলা থাক। আরও কিছু প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা ও প্রশ্ন বের করে নিই, অনুমাননির্ভর উত্তরগুলো পরে খোঁজা যাবে।


বিএনপি অনেক দিন ধরেই বলে আসছে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে তারা কোনো নির্বাচনে যাবে না। গতকাল রোববার ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বিএনপির নেতারা। সেখানে তাঁরা আবারও তাঁদের একই অবস্থান স্পষ্ট করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু বলেন, ‘অবশ্যই এই সরকারের অধীন বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। সেটা আমরা খোলাখুলিভাবে বলেছি। বিশ্বের যারা বাংলাদেশের ওপর নিবিড়ভাবে কাজ করছে, পর্যবেক্ষণ করছে, সবার কাছে এটা পরিষ্কার করা হয়েছে যে বর্তমান দখলদার, অনির্বাচিত সরকারের অধীন বাংলাদেশের জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের প্রতিনিধি, তাদের সরকার, তাদের সংসদ নির্বাচিত করতে পারবে না।’


বিএনপির এই অবস্থান সামাল দিতে আওয়ামী লীগ বেশ কিছু দিন ধরেই নানা মহলে ও নানাভাবে সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাস দেওয়া শুরু করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে আওয়ামী লীগও বসেছিল। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা তাঁদের বলেছি, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আগামী নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য, সুষ্ঠু, অবাধ হবে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং নির্বাচন কমিশনকে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে। তিনি আরও বলেছেন, ইইউ চায় বিএনপিসহ সব দল নির্বাচনে অংশ নিক।


দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ নেতারা কূটনীতিক বা রাজনীতিকদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের ওপর জোর দিচ্ছে। এই সূত্রেও কিছু প্রশ্ন তোলা যায়; এই সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাসে বিএনপি কেন আস্থা রাখবে? ২০১৪ ও ২০১৮ সালে বিএনপির যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তাতে তারা কেন আওয়ামী লীগের অধীন নির্বাচনে যাবে? আর এই যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বিদেশিদের কাছে নানাভাবে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরছে, তারা আগামী নির্বাচনে কী প্রভাব ফেলতে পারবে? বা আদৌ তাঁরা কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে কি?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও