কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ছাত্ররা কেন সহিংস হয়?

বাংলা ট্রিবিউন আমীন আল রশীদ প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২৩, ১৯:৫৭

মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি রায়কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের বিপরীতে ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে যখন পাল্টা কর্মসূচি শুরু হয়েছিল রাজধানীর শাপলা চত্বরে, তখন অনেক মাদ্রাসার ছাত্র টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে বলেছিলেন, তারা জানেন না এখানে কেন এসেছেন। ‘হুজুর বলেছেন তাই এসেছেন।’ তারা তখন দুটি শব্দ বলছিলেন। ১. নাস্তিক এবং ২. ব্লগার। যদিও নাস্তিক বা ব্লগার বলতে কী বোঝায়, সে বিষয়ে তারা পরিষ্কার উত্তর দিতে পারেননি। কেউ কেউ বলেছিলেন, ‘ব্লগাররা ইসলামকে ব্লক করে দিতে চায়।’


হেফাজতে ইসলামের ওই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তখন রাজধানীসহ সারা দেশে কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সেটি দেশবাসীর স্মৃতি থেকে মুছে যায়নি। পরবর্তী সময় জানা যায়, তাদের মূল টার্গেট ছিল রাজধানী দখল করা এবং তার পেছনে দেশের এক বা একাধিক রাজনৈতিক দলের যে ইন্ধন ছিল, সেটিও ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয়।


এই যে কোনও একটি রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক সংগঠনের ঢাকা দখল করতে চাওয়া বা দাবি আদায়ে বড় ধরনের শোঅফ ও শোডাউন করা—তার প্রধান শক্তি আসলে শিক্ষার্থীরা। যে গণজাগরণ মঞ্চের পাল্টা হিসেবে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, সেখানেও মূল শক্তি ছিল ছাত্রসমাজ।


বলাই হয়, দেশের সবচেয়ে বড় সংগঠিত শক্তি হচ্ছে ছাত্রসমাজ আর এ কারণেই সব রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ আছে এমন অরাজনৈতিক সংগঠনগুলো সবসময়ই এই বৃহৎ শক্তিকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। যে কারণে দেখা যায়, যখন যে দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকে, তাদের ছাত্র সংগঠনগুলোই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, প্রধানত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় থাকে। বিরোধী বা সরকারের বাইরে থাকা দলগুলোর ছাত্রসংগঠন খুব একটা পাত্তা পায় না।


একসময় সরকারি ও বিরোধীদলীয় ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতো। রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের রগ কাটার মতো তাণ্ডবও হয়েছে। এ সবকিছুর মূলে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখা। কারণ, এটি বলাই হয় যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যাদের দখলে, রাষ্ট্রক্ষমতাও তাদের।


বলা হয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা যদি দলমত নির্বিশেষে কোনও একটি দাবি নিয়ে রাস্তায় নামেন, তাহলে সেই দাবি পূরণ না করে রাষ্ট্রের উপায় থাকে না। যে কারণে সব আমলে সব সরকারই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে চায়। নিজেদের দলের বাইরে অন্য সব দলের কার্যক্রম প্রতিহত বা নিষ্ক্রিয় করে রাখতে চায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও