
রমজানের আগে আবারো বেড়েছে সবজির দাম, স্বস্তি ছোলাতে
রমজানের আগে আবারো বেড়েছে সবজির দাম। ক্রেতা ও বিক্রেতারা বলছেন প্রতি কেজি সবজিতে অন্তত ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। এই দাম আরও কিছুটা বাড়ার আশঙ্কা করছেন সবজি বিক্রেতারা।
অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, ছোলা, চিনি, বেসন, মসুর ডালসহ শুকনো বিভিন্ন পণ্যের দাম রমজান উপলক্ষে বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি সজনে বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, কচুরলতি ১০০ টাকা। প্রতি কেজি করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, পটল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আদা প্রতি কেজি ১৬০ টাকায়, রসুন ১৪০ টাকা, পিয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। লাউ প্রতি পিসি বিক্রি হয়েছে আকার ভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়।
কারওয়ান বাজারে কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী মুনিরজ্জামান রুবেলের সঙ্গে। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সরকার বলছে মুরগির দাম বেশি তাই খাওয়া বন্ধ বরে দেন, দাম কবে যাবে। তারা বলুক কোন জিনিসটার দাম কম। মানুষ খাবে কী।'
এই সময় দোকানদার রুবেলকে সালাদ খাওয়ার জন্য শসা ও গাজর নিতে বলেন। উত্তরে তিনি বলেন, 'ভাত খাওয়ার জিনিস কিনতে পারছি না। আর সালাদ! তরকারির দাম শুনলে এখন ভয় লাগে।'
সবজি বিক্রেতা রনি ডেইলি স্টারকে বলেন, '২ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিটি সবজির দাম অন্তত ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। শীতকালীন সবজি শেষ হয়ে যাওয়া এবং অনেক সবজির ক্ষেতে ধান লাগানোর কারণে সবজির উৎপাদন কমে গেছে। সেই কারণে সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম একটু বাড়তি।'
- ট্যাগ:
- ব্যবসা ও অর্থনীতি
- সবজির দাম
- দাম বৃদ্ধি