কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সাভারে পরমাণু শক্তি কমিশনের ভবনটি নির্মিত হচ্ছিল অনুমোদন ছাড়াই

প্রথম আলো সাভার প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২৩, ০৭:০৭

সাভারে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের নির্মাণাধীন যে ভবনের ছাদ ধসে পড়েছে, সেই ভবন নির্মাণে রাজউক বা স্থাপত্য অধিদপ্তর কারও কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি। পরমাণু শক্তি কমিশন নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে নকশা তৈরি করে ভবনটি নির্মাণ করছিল।


অন্যদিকে ভবনটির নির্মাণকাজেও গাফিলতি ছিল বলে মনে করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। গতকাল শনিবার ভবনটি পরিদর্শন করেছেন তিনি। তাঁর মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন।


ভবনটি পরিদর্শন শেষে ইয়াফেস ওসমান সাংবাদিকদের বলেন, পুরোটা দেখে বোঝা যাচ্ছে, কিছুটা গাফিলতি আছে। এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে, ঠিকাদার ধসে যাওয়া অংশে নতুন করে কাজ করবে। পরবর্তী কাজগুলো যাতে ঠিকমতো হয় এবং এ ধরনের অঘটন যেন আর না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কারও দায় থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত কমিটি করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘আমরা সবকিছু দেখলাম। তদন্ত কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা হবে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভবন।’


গত শুক্রবার অনুমোদনহীন এই ভবনের ১০ তলার ছাদ ধসে অন্তত ১৬ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের সবাই নির্মাণশ্রমিক।


পরমাণুপ্রযুক্তি প্রয়োগ করে ক্যানসার নির্ণয় ও চিকিৎসার পাশাপাশি গবেষণা ও প্রশিক্ষণের কাজে ওই ভবন ব্যবহার করার কথা রয়েছে। কিন্তু নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই ভবনের ১০ তলার ছাদ ধসে পড়েছে।


সরকারি কোনো সংস্থার অনুমোদন না নিয়ে যেভাবে ভবন নির্মাণ করছে, তা অত্যন্ত খারাপ দৃষ্টান্ত বলে মনে করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি মোহাম্মদ ফজলে রেজা। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে আইন না মানতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।


পরমাণু শক্তি কমিশনের নির্মাণাধীন ভবনটির অবস্থান সাভারের গণকবাড়ী এলাকায়। এলাকাটি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অঞ্চল-১–এর আওতাধীন এবং সংস্থাটির প্রণয়ন করা ঢাকা মহানগর এলাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) অন্তর্ভুক্ত। প্রচলিত ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুসারে, ড্যাপে অন্তর্ভুক্ত কোনো এলাকায় যেকোনো ধরনের ভবন নির্মাণ করতে হলে রাজউক থেকে অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও