সংলাপের আভাস ও খালেদা জিয়ার রাজনীতি
দেশে অপশক্তির শাসন। হোদল রাজা আর বুদ্ধ রাজা মিলে ঠিক করলেন, এই অপশক্তিকে সরাতে হবে। তাই তাদের এক হতে হবে। এবার হোদল-বুদ্ধ এক হয়ে লড়াই করতে থাকে অপশক্তির বিরুদ্ধে। অপশক্তি পরাস্ত হয়। দূর হয় দেশ থেকে। কিন্তু এবার দেখা দিল নতুন সমস্যা। কে হবে রাজা? তারা দুজনই একমত হলেন, জনগণ যাকে বেছে নেবে সেই হবে রাজা। জনগণ বেছে নিল হোদলকে। কিন্তু বুদ্ধ কি তা মানতে পারে? কিছু দিন যেতে না যেতেই বুদ্ধ রাজসিংহাসন থেকে হোদলকে উৎখাত করতে মরিয়া হয়ে ওঠে।
সফল হয়। এবার রাষ্ট্রে বুদ্ধের শাসন। কিন্তু তা কি হোদলের পক্ষে মানা সম্ভব? হোদল চেষ্টা চালায় বুদ্ধকে উৎখাতের। সেও সফল হয়। আবার এলো হোদলের শাসন। কিন্তু না, এবারও শান্তি দিল না বুদ্ধ। আবার শুরু হয় দুজনের মধ্যে ঝগড়া ফ্যাসাদ। তাদের এই ঝগড়া ফ্যাসাদে দেশের জনগণের অবস্থা কাহিল। বিজ্ঞজনরা হোদল-বুদ্ধকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানায়। কিন্তু আলোচনায় বসলে কী হবে, দুজনই অনড় নিজ নিজ অবস্থানে। আর এ সুযোগে রাষ্ট্র চলে যায় আবার অপশক্তির হাতে। গল্পটা কাল্পনিক হলেও আমাদের দেশের রাজনীতির সঙ্গে কোথায় যেন মিলে যায়। দেশের প্রধান দুই দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে ঘিরে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রাজনীতির মাঠে কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। রাজনীতির মাঠে সহনশীলতার অভাবে বরাবরই জনগণকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছে।