সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ : মামলা গ্রহণে ‘যত ত্রুটি’

ঢাকা পোষ্ট সীতাকুণ্ড প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০২৩, ২২:৩৮

সীতাকুণ্ডের অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনার পর কারখানার নানা অনিয়মের চিত্র উঠে আসছে। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা এসবের সত্যতাও পাচ্ছেন। এছাড়া মালিকপক্ষের বক্তব্যেও উঠে এসেছে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার বিষয়। তারপরও যথাযথ ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না সংশ্লিষ্টদের। একের পর এক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হলেও যেন টনক নড়ছে না কারও। সর্বশেষ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত এক ব্যক্তির স্ত্রী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। যদিও সেই মামলা গ্রহণ নিয়ে বিভিন্ন ত্রুটির কথা জানিয়েছেন আইনজীবীরা।


তারা বলছেন, মামলায় যে সব ধারা উল্লেখ করা হয়েছে সবগুলো জামিনযোগ্য। আবার যে ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলা করেছেন, তিনি কারখানার ত্রুটির কথা জানলেন কীভাবে? এজাহারে দেওয়া বক্তব্যের সূত্র কী? তিনি যে সব অনিয়মের বিষয় উল্লেখ করেছেন এগুলো জানার কথা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের। বাদী হয়ে তাদেরই মামলা দায়ের করা উচিত ছিল। এছাড়া এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে দণ্ডবিধি ছাড়াও বিশেষ আইনে মামলা করা যেত। এসব আইনে মামলা হলে মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া যেত।


আইনজীবীরা আরও বলছেন, কারখানার মালিকরা যথেষ্ট প্রভাবশালী। এক্ষেত্রে সাধারণ কেউ বাদী হলে তারা ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। অনেক সময় সমঝোতা করতে চাপও প্রয়োগ করেন। কিছু ক্ষেত্রে সমঝোতা হয়েও যায়। এরপর বাদী মামলা পরিচালনা করতে আর সহায়তা করেন না। আদালতে যথাযথ সাক্ষী দেন না। এতে আসামিরা খালাস পেয়ে যান। এ ধরনের ঘটনা আদালতে অহরহ ঘটছে।


চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী এ প্রসঙ্গে ঢাকা পোস্টকে বলেন, বারবার দুর্ঘটনা হচ্ছে এবং মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে। এক্ষেত্রে জামিনযোগ্য ও সহজ ধারায় মামলা নেওয়া হচ্ছে। এটা তো মানা যায় না। সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় এক নারী বাদী হয়ে মামলা করেছেন দেখলাম। তিনি সেখানে কারখানার অনিয়মের কথা লিখেছেন। এসব কথা তিনি কীভাবে জেনেছেন এবং কী উদ্দেশ্যে লিখেছেন— তাও বোধগম্য নয়। এসব কথা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জানার কথা ছিল। এক্ষেত্রে প্রত্যেক দপ্তরের একজন বাদী হয়ে আলাদা আলাদা মামলা করা দরকার ছিল। এগুলোর ক্ষেত্রে বিশেষ আইন রয়েছে।


সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস এম দিদার উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘যে অনিয়মের কথা আসছে, এসব অনিয়মের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের বাদী হয়ে বিশেষ বিশেষ আইনে মামলা করা দরকার ছিল। নিহত ও আহতদের বিষয়ে সবার পক্ষ থেকে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করলে ভালো হতো। কারণ, সাধারণ কেউ বাদী হলে কারখানার মালিকরা আপসের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। অনেক ক্ষেত্রে তারা সফল হন। আসামিরা খালাস পেয়ে যান।’


এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শক এস এম সাখাওয়াত হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ওই প্ল্যান্টে শুধু অক্সিজেন উৎপাদনের অনুমতি ছিল। কিন্তু তাদের কারখানায় আমরা কার্বন ডাই অক্সাইড ও নাইট্রোজেনের সিলিন্ডার পেয়েছি। এসবের কোনো অনুমতি ছিল না। তারা অদক্ষ লোক দিয়ে কারখানা চালাতেন বলে প্রাথমিক তদন্তেও উঠে এসেছে।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও