পঞ্চগড়ে হামলা, মন্ত্রীদ্বয়ের বক্তব্য ও রাজনীতির হিসাব-নিকাশ

প্রথম আলো রাফসান গালিব প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০২৩, ১৭:০৭

প্রতিবছর এ সময় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বার্ষিক ধর্মীয় সমাবেশ বা সালানা জলসা হয়ে থাকে। সাধারণত সালানা জলসাগুলো একেক বছর একেক জেলায় আহমদিয়াদের কেন্দ্রে হয়। নিরাপত্তার কারণে এভাবে সালানা জলসা আয়োজন করে থাকে আহমদিয়ারা, যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের কাছে কাদিয়ানি নামে পরিচিত।


এখন আহমদিয়াদের মুসলিম হিসেবে স্বীকার করতে নারাজ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম, বিশেষত বৃহত্তর সুন্নি মুসলিমরা। যদিও এ নিয়ে দীর্ঘ ধর্মীয় আলাপ, বিতর্ক, বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনার ইতিহাস আছে। উপমহাদেশে এ নিয়ে আছে দীর্ঘ রাজনীতির ইতিহাসও। ধর্মীয় তাত্ত্বিক আলাপ, ধর্মীয় বিশ্বাস ও দৃষ্টিভঙ্গির বিষয় নিয়ে এখানে কিছু বলতে চাই না। সেটি ধর্মীয় পণ্ডিত ও বিশেষজ্ঞদের কাজ। কিন্তু একটি রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আহমদিয়াদের অধিকারের বিষয়টি কোনোভাবেই ক্ষুণ্ন হওয়ার সুযোগ নেই।


গত শুক্রবার (৩ মার্চ, ২০২৩) আগে-পরে কয়েক দিন পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর যে ভয়াবহ অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ভাঙচুর, হামলা চালানো হলো তা কল্পনাতীত। বারবার সংখ্যালঘু গোষ্ঠীদের ওপর এমন সাম্প্রদায়িক হামলা সংঘটিত হতে দেখছি আমরা। কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠনের উগ্রবাদী আচরণের কাছে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশসহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী এভাবে ‘শক্তিহীন’ হয়ে পড়বে, সেটি কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না। আমাদের কারও অজানা নয়, স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের শক্তি-সামর্থ্য কাদের কাছে সব সময় ম্রিয়মাণ থাকে এবং কাদের সঙ্গে যখন-তখন তাঁরা চড়াও হন আর কাদের সঙ্গে তাঁদের সখ্য চলে সেটিও।


পঞ্চগড় জেলা সদরের আহমদনগরে শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া তিন দিনব্যাপী সালানা জলসা বন্ধে দু-এক সপ্তাহ থেকেই তৎপর হয় কিছু ইসলামি সংগঠন। আহমদিয়াদের জলসা বন্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদনও করে তারা। ওই দিন পঞ্চগড়ে মহাসড়ক অবরোধসহ বিক্ষোভ করেন এসব সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা। সেদিনই আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বাড়িতে প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও