কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর কবিতাখানি

জাগো নিউজ ২৪ ড. মিল্টন বিশ্বাস প্রকাশিত: ০৭ মার্চ ২০২৩, ০৯:৪৬

Jakob F. Field সম্পাদিত ‘We Shall Fight on the Beaches: The Speeches that Inspired History’ গ্রন্থে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইতিহাসের অন্যতম ভাষণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। খ্রিস্ট পূর্ব ৪৩১ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ইতিহাস সৃষ্টিকারী ভাষণগুলোর মধ্যে ৭ মার্চ যেমন শিল্প-সাহিত্যে অভিব্যক্ত হয়েছে তেমনি আলোড়ন সৃষ্টি করে চলেছে বর্তমান রাজনৈতিক অঙ্গনে।


কোটি বছর বয়সী এই পৃথিবীর পাঁচ হাজার বছরের মানব সভ্যতার ইতিহাসে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের মতো কোনো ভাষণ শোনা যায়নি। যদিও অনেকে এই মহাকাব্যিক ভাষণের তুলনা করে থাকেন আব্রাহাম লিংকনের গেটিসবার্গের ভাষণের সঙ্গে অথবা তুলনা দেয়া হয় মহাত্মা গান্ধীর ১৯৪১ সালের ৮ আগস্ট কুইট ইন্ডিয়া ভাষণের। কিন্তু লিংকন অথবা গান্ধীর শব্দ উচ্চারণ, ক্ষোভ প্রকাশ, মানব মুক্তির স্বপ্ন সবই ভিন্ন ছিল আমাদের জাতির পিতার ঐতিহাসিক ভাষণটি থেকে।


সেদিনের রেসকোর্স ময়দান ও বর্তমানের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সেই ভাষণটিকে কেন্দ্র করে নির্মলেন্দু গুণের ‘স্বাধীনতা এই শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো’ কবিতার পঙক্তিমালায় যথার্থই উপস্থাপিত হয়েছে- ‘লাখ লাখ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছে/ ভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে।’ দশ লাখেরও বেশি মানুষের সেই সমাবেশ মানব সভ্যতার ইতিহাসের বিরল ঘটনা।


১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসনে জয়ী হয়ে দীর্ঘদিনের শোষণ বঞ্চনা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন জনগণের মুক্তির স্বপ্নে বিভোর ঠিক তখনই পাকিস্তানি শাসকচক্র ষড়যন্ত্র করে ১ মার্চ ঘোষণা দিয়ে ৩ মার্চের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করে। কারণ পাকিস্তানি পিপলস পার্টির নেতা ভুট্টো বলেছিল তাদের দল বাদ দিয়ে অধিবেশন বসলে পেশোয়ার থেকে করাচি পর্যন্ত জীবনযাত্রা নীরব নিথর করে দেয়া হবে। ইয়াহিয়া তার হুমকির কাছে মাথা নত করে। আর তার ঘোষণার পরে বাংলাদেশ অগ্নিগর্ভ উত্তাল জনসমুদ্রে পরিণত হয়।


প্রথমে অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিলেও ৭ মার্চের ভাষণেই বঙ্গবন্ধু সশস্ত্র সংগ্রামের ডাক দেন। ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার আহ্বান ছিল এরকম- ‘তোমাদের কাছে অনুরোধ রইল, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা আছে সবকিছুই- আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে।’ একই বক্তৃতায় তিনি হানাদার পাকিস্তানিদের প্রতি শান্তি প্রস্তাব দিয়েছেন; বলেছেন- ‘তোমরা আমার ভাই, তোমরা ব্যারাকে থাকো, কেউ তোমাদের কিছু বলবে না।’


 এই প্রস্তাবে সাড়া না দিলে ‘আমরা ভাতে মারবো, আমরা পানিতে মারবো’ অর্থাৎ নিরস্ত্র প্রতিরোধের ডাকও দিয়েছেন তিনি। ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্লেষণ করে সকলেই স্বীকার করেছেন এটি ছিল স্বতঃস্ফূর্ত কিন্তু সুচিন্তিত এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এর প্রভাব ছিল প্রত্যক্ষ। মুক্তিযুদ্ধের সূচনায় অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের ডাক ছিল বঙ্গবন্ধুর সাময়িক কৌশল; বিশ্বাস নয়। তাঁর বিশ্বাস ছিল সুভাষচন্দ্রের সশস্ত্র যুদ্ধের রাজনৈতিক বিশ্বাস। লক্ষণীয় তাঁর ভাষণজুড়ে রয়েছে সামরিক প্রসঙ্গ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও