কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

কেমন কেটেছিল মুজিবের কালজয়ী ভাষণের দিন

ডেইলি স্টার প্রকাশিত: ০৭ মার্চ ২০২৩, ০৯:৪৭

৭ মার্চের ভাষণ শেষে শেখ মুজিবুর রহমান বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রাতের খাবার খেতে বসেন। খাওয়ার সময় গম্ভীর হয়ে বললেন, 'আমার যা বলার ছিলো আজকের জনসভায় তা প্রকাশ্যে বলে ফেলেছি। সরকার এখন আমাকে যেকোনো মুহূর্তে গ্রেফতার বা হত্যা করতে পারে। সে জন্য আজ থেকে তোমরা প্রতিদিন দুবেলা আমার সঙ্গে একত্রে খাবে। সেদিন থেকে এ নিয়ম আমরা ২৫ মার্চ দুপুর পর্যন্ত পালন করেছি। কেবল ২৫ শে মার্চ রাতে ব্যতিক্রম ঘটে। সে রাতে বঙ্গবন্ধু রাত এগারোটা পর্যন্ত বাড়ির নিচতলায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, যুবলীগ ও অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত ছিলেন। ফলে শাশুড়ি বাদে আমরা সবাই খেয়ে নিয়েছিলাম।'


'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ' বইয়ে পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতিচারণ করেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ মার্চের দিনটি কীভাবে অতিবাহিত করেছিলেন। এম এ ওয়াজেদ মিয়া বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী।


বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনগণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে তাদের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান অগ্নিঝরা মার্চের প্রথম রোববার অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশ থেকে কী ঘোষণা দেবেন।


৭ মার্চ সকাল থেকে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর বাড়ি আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীসহ অন্যদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠতে শুরু করে। এম এ ওয়াজেদ মিয়া তখন ধানমন্ডির ওই বাড়িতেই থাকতেন। ওয়াজেদ মিয়া লিখেছেন, '৭ই মার্চ সকালে ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুর বাড়ী আওয়ীমী লীগের বহু নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ও ছাত্র নেতৃবৃন্দে ভরে যায়। উপস্থিত সবার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন দেশে পরিণত করার ব্যাপারে আলোচনা করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এ এইচ এম কামরুজ্জামান, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, খন্দকার মোশতাক, তাজউদ্দীন আহমদ ও ড. কামাল হোসেন সাহেবদের সঙ্গে লাইব্রেরি কক্ষে দ্বার রুদ্ধ করে আলাপে বসেন।'


'সুদীর্ঘ আলোচনার পর লাইব্রেরি কক্ষ থেকে বসার ঘরে অপেক্ষারত আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু বলেন যে, 'তাঁরা ঐক্যমত্যে পৌঁছেছেন এবং ওইদিন বিকেল সাড়ে চার ঘটিকায় রেসকোর্স ময়দানে অনুষ্ঠিতব্য সভায় দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করে একটি চার দফার ঘোষণা দেওয়া হবে। অতঃপর বঙ্গবন্ধু তৎমর্মে জনাব কামরুজ্জামান, জনাব সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, খোন্দকার মোশতাক আহমেদ ও ড. কামাল হোসেনকে নির্দেশ দিয়ে গোসল ও দুপুরের আহারের জন্য বাড়ীর ওপর তলায় চলে যান। আহার শেষে বঙ্গবন্ধু যখন বিছানায় শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন সে সময় এক ফাঁকে এসে ড. কামাল হোসেন তাকে প্রস্তাবিত ঘোষণাপত্রের খসড়াটি দেখিয়ে নেন।'

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও