গত বছর ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪ হাজার ৩৬০ নারী: লাইট হাউস
গত বছর দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪ হাজার ৩৬০ জন নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৪৫০ জনকে। এই সময়ে সহিংসতার শিকার হয়েছেন ৯ হাজার ৭৬৪ জন নারী। গণমাধ্যমে এবং পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যের ভিত্তিতে এ সব তথ্য জানিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লাইট হাউস। আন্তর্জাতিক নারী দিবস- ২০২৩ উপলক্ষে আজ সোমবার ‘মিডিয়া অ্যাডভোকেসি’ শীর্ষক এক সভায় এ সব তথ্য জানানো হয়।
জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র উল্লেখ করে লাইট হাউসের নির্বাহী প্রধান মো. হারুন আর রশিদ জানান, গত বছর যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২ হাজার ৬৭৫ জন। যৌতুক না পেয়ে হত্যা করা হয়েছে ১৫৫ জনকে। অপহরণ করা হয়েছে ১ হাজার ৮৭০ জনকে। তিনি বলেন, সাধারণত নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা গুরুতর না হলে গণমাধ্যমে সেগুলো প্রকাশিত হয় না। আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক) ৯টি পত্রিকা এবং কিছু অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের তথ্যের ভিত্তিতে জানিয়েছে ২০২২ সালে নারী ও শিশু নির্যাতনের ৩ হাজার ১৮৪টি খবর প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৬৪ শতাংশ ধর্ষণের খবর।
সভায় জানানো হয়, অনলাইনে নারী ও শিশু নির্যাতন ব্যাপক হারে বেড়েছে। পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন (পিসিএসডব্লিইউ) অনুসারে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ভুয়া আইডি, আইডি হ্যাক, ব্ল্যাকমেলিং, মোবাইল ফোনে হয়রানি, আপত্তিকর কনটেন্ট বা বিষয় ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন ৮ হাজার ৭১৫ জন নারী। সরকারি-বেসরকারি তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ বছর আগের তুলনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাসে গড়ে ৩৫০টি মামলা বেড়েছে। বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, প্রতারণা, যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। গত বছরের শুরুর দিকের তুলনায় শেষের দিকে অনলাইনে নির্যাতনের অভিযোগ বেড়েছে ২৫ শতাংশ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন নারীপক্ষের পরিচালক অ্যাডভোকেট কামরুন নাহার, মহিলা ও শিশুবিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক আয়েশা নার্গিস প্রমুখ।